প্রিন্সেস ডায়ানার ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রিন্সেস ডায়নার ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সবচেয়ে আলোচিত ব্যাক্তির একজন ছিলেন তিনি। মৃত্যুর এত বছর পরও শুধু ব্রিটিশ জনগণের কাছেই নয় সারা বিশ্বের অগণিত ভক্তের মাঝে তার স্মৃতি অম্লান। পৃথিবীতে এমন কিছু ক্ষণজন্মা মানুষ আসেন যারা জ্বলে ওঠেন আপন মহিমায়। তাদেরই একজন ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়না স্পেন্সার।
আজ ডায়ানার মৃত্যুর ২৩ বছর পেরিয়ে গেছে। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি টানেলে সঙ্গী ডোডি আল ফায়াদসহ এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পুত্র প্রিন্স চার্লসের প্রথম স্ত্রী ছিলেন ডায়ানা। সমাজ সেবার জন্য তার জনপ্রিয়তা ছিল।
প্রিন্স চার্লসের সাথে বাগদানের পর থেকেই ব্রিটিশ গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ডায়না। সৌন্দর্য, ব্যাক্তিত্ব ও ফ্যাশান সচেতনতার জন্য খুব অল্প সময়েই হয়ে ওঠেন সেলিব্রিটি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস। এইডস, ল্যান্ডমাইন ক্লিয়ারেন্স এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন দাতব্য কার্যক্রমের জন্য সাধারনের মনে চিরস্থায়ী হয়ে যান ডায়ানা।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস ডায়ানার ৬০তম জন্মবার্ষিকীতে আগামী বছর কেনসিনটন রাজপ্রাসাদের বাগানে তার মূর্তি স্থাপন করা হবে। মৃত্যুর আগে এই প্রাসাদেই বসবাস করতেন তিনি। তার দুই পুত্র প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স চার্লসের এক যৌথ বিবৃতিতে এই মূর্তি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই মূর্তি প্রাসাদ পরিদর্শনে আসা দর্শণার্থীদের কাছে তাদের মায়ের জীবন ও উত্তরাধিকারকে প্রতিফলিত করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, প্রিন্সেস ডায়ানার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ২০১৭ সালে প্রথম তার মূর্তি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হলেও করোনাভাইরাসের মহামারিতে তা বিলম্বিত হয়। ফলে সেটি উন্মোচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের ১ জুলাই। নির্মাণ শুরুর সময়ই রাজপ্রাসাদের সূত্র জানায় প্রিন্স হ্যারি ও উইলিয়াম এমন কিছু একটা করতে যা দীর্ঘকাল টিকে থাকবে।