ন্যূনতম মজুরি ১০০০ রিয়াল

কাতারের শ্রম আইনে পরিবর্তন

কাজ পাল্টাতে লাগবে না মালিকের অনুমতি

শ্রম আইনে ঐতিহাসিক পরিবর্তন এনেছে কাতার। নতুন এক ঘোষণায় দেশটির প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সামাজিক বিষয় (এমএডিএলএসএ) বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে কাজ পাল্টাতে নিয়োগদাতার অনুমতির প্রয়োজন হবে না অভিবাসী শ্রমিকদের। একইসঙ্গে তারি ন্যূনতম মাসিক মজুরি হবে ১০০০ কাতারি রিয়াল।

অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে আচরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত হয়ে আসছে কাতার। ওঠেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার পর থেকেই এসব বিষয় ওঠে আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। চাপের মুখে শ্রম আইন সংশোধন করা শুরু করেছে কাতার।
কাতারের ‘কাফালা’ (পৃষ্ঠপোষকতার আরবি শব্দ) পদ্ধতির আওতায়, কোনো অভিবাসী শ্রমিক কাজ পাল্টাতে চাইলে আগে তাকে বর্তমান নিয়োগদাতার অনুমতি- একটি অনাপত্তি সনদ (এনওসি)- সংগ্রহ করতে হতো। শ্রম অধিকারকর্মীদের মতে, এই আইন দেশটিতে নিয়োগদাতাদের হাতে শ্রমিকদের নির্যাতন ও অপব্যবহারে ভূমিকা রাখতো।
নতুন ঘোষণা অনুসারে, কাজ পাল্টাতে কোনো অনাপত্তি সনদ লাগবে না অভিবাসী শ্রমিকদের।
কোনো নিয়োগদাতার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই কাজ পাল্টাতে পারবেন তারা। তবে এজন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগে মালিককে জানাতে হবে। কাজ পালটানো বা বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে এমএডিএলএসএ বিবৃতিতে জানায়, উভয় পক্ষকেই চুক্তির প্রথম দুই বছরে এক মাসের লিখিত নোটিশ বা দুই বছর পরে দুই মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হবে।
মন্ত্রণালয়টি আরো জানিয়েছে, তারা শ্রমিকদের চুক্তি আপডেট করতে তাদের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। নতুন আইনে ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম আয় করেন এমন শ্রমিকদের চুক্তি আপডেট করা হবে। নতুন মজুরি বিষয়ক এ আইন সরকারি গ্যাজেট প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর হবে।
এদিকে, কোনো শ্রমিকের নিয়োগদাতার সঙ্গে চুক্তিতে থাকা-খাওয়ার ব্যয় অন্তর্ভুক্ত না থাকলে, তাদের বাসস্থানের জন্য ৫০০ রিয়াল ও খাদ্যের জন্য ৩০০ রিয়াল করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছে এমএডিএলএসএ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button