কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়নে ৫ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ পাচ্ছে এনএইচএস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে এনএইচএস কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড সরকারী বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে, যা স্পষ্টভাবেই লাখ লাখ ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত হবে। কিছু ক্যান্সার চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হয়েছিলো এবং যদি করোনাভাইরাস কেসসমূহ আবার বৃদ্ধি পায় তবে অপারেশন বাতিলের বিষয়টি বাতিল করা যাবে না- মর্মে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককের স্বীকৃতির পর এ খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্যে লকডাউন শুরুর পর স্পষ্টত:ই একটি স্থবিরতা বা জট সৃষ্টি হয়, যার ফলে কয়েক লাখ রোগীর অপারেশন বাতিল করা হয় কিংবা অনেক রোগী হাসপাতালগুলোতে আসতে বাধাগ্রস্ত হন। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে বলেছে, মহামারির দরুন ২৪ লাখ রোগী মে মাসের শেষভাগ পর্যন্ত ক্যান্সার স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা, অধিকতর চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সরকার বলছে, লন্ডন, কভেন্ট্রি ও লীডস ভিত্তিক তিনটি ডিজিটাল প্যাথোলজি সেন্টারে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের অর্থায়ন লাখ লাখ ক্যান্সার রোগীর দ্রুততম ও সঠিকতম রোগ নির্ণয়ে এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সেন্টারগুলো অতিরিক্ত ৩৮টি এনএইচএম ট্রাস্টসমূহে প্যাথোলজি ও ইমেজিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে ডিজিটালের উন্নত মান প্রদান করবে। মি: হ্যানকক বলেন, ভয়ানক রোগসমূহের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে প্রযুক্তি চিরদিনই একটি শক্তি যা দ্রুততম রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে জীবন রক্ষা, রোগীদের সাথে সময় কাটাতে ক্লিনিকের লোকজনের সাচ্ছন্দ্য প্রদান এবং এনএইএস-এর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি পাউন্ডের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে।
ইউনিভার্সিটি হসপিটালস্ কভেন্ট্রি এন্ড ওয়ারউইকশায়ার এনএইচএস ট্রাস্ট-এর চীফ মেডিকেল অফিসার অধ্যাপক কিরণ প্যাটেল বলেন, বড়ো ধরনের অর্থায়ন প্যাথোলজি সার্ভিস সমূহের ডিজিটাইজেশনের ব্যাপক সম্প্রসারনের সুযোগ দেবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ লাখ ক্যান্সার রোগী মে মাসের শেষভাগ পযন্ত টেস্ট কিংবা ট্রিটমেন্টের জন্য অপেক্ষায় আছেন।
সরকার আরো জানায়, তারা করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত নাইটিঙ্গেল হাসপাতালগুলোকে ব্যাপক ভিত্তিক ক্যান্সার স্ক্রিনিং সেন্টার অর্থাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছে। মি: হ্যানকক বলেন, লোকজনের এগিয়ে আসা এবং ক্যান্সারের টেস্ট করানো অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, মাহামারি শুরুর পর থেকে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিলম্বিত লোকজনের সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে। আমরা এনএইচএস ব্যাপী এটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি যে, আমরা কভিড মোকাবেলা করছি এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, চিকিৎসার দরুন রোগীরা বিশেষভাবে ক্যান্সার রোগীরা যেনো ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। তবে এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লোকজনের এগিয়ে আসা।
অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী কবে স্থবিরতা বা জট কাটবে এর কোন সংক্ষিপ্ত তারিখ দিতে অস্বীকার করেন, কারণ এটা নির্ভর করছে দেশে কভিড রোগীর সংখ্যার ওপর।