‘দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো’তে অংশ নেবে বাংলাদেশ
দুবাইয়ে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক পণ্য প্রদর্শনী ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বাংলাদেশের দ্বিতল প্যাভিলিয়নের অবকাঠামো নির্মাণে দেশটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ডব্লিওডব্লিওএসজেবি’র তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল ইসলামসহ কনস্যুলেটের অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হানাস ওয়েনেস, ডমিনিক ওয়ান্ডার্স ও শামসুল আরেফিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবরে ওয়ার্ল্ড এক্সপো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে আগামী বছরের (২০২১ সালের) অক্টোবরে চ‚ড়ান্ত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এবং ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসব্যাপী চলবে এ আয়োজন। জানা গেছে, ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৩৮টি দেশ বৃহত্তর বাণিজ্যিক এ প্রদর্শনীতে নিজ নিজ দেশের অংশগ্রহণের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে। এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে বিশাল কর্মযজ্ঞের এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাংলাদেশ মিশন।
এদিকে ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন হবে এমন সুখবরে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে তাদের মতে, এর আগে অনুষ্ঠিত দুবাই গ্লোবাল ভিলেজে কয়েকবার বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন থাকলেও বাংলাদেশের নামি-দামি কোম্পানিগুলোর পর্যাপ্ত উপস্থিতি না থাকার পাশাপাশি দেশীয় স্টল কম থাকা এবং ব্যাপকভাবে দেশীয় পণ্যসামগ্রীর অনুপস্থিতির কারণে সে সময় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তেমন আকৃষ্ট করতে পারেনি। তাই আন্তর্জাতিক পণ্য প্রদর্শনী ওয়ার্ল্ড এক্সপোর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্যসামগ্রীর ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি বিশ্বমানের এ মেলায় উন্নত দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নে উড়বে দেশের জাতীয় পতাকা। গর্বিত হবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিরা। সেকথা মাথায় রেখে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে সাফল্য বয়ে আনবে এমন একটি চমৎকার প্যাভিলিয়ন উপহার দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের। গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের অবকাঠামো নির্মাণে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।