ফারলো স্কীমের বিলিয়ন পাউন্ড প্রতারণামূলকভাবে নেয়া হয়েছে

সরকার এ পর্যন্ত ফারলো ক্যাশের ৩৫.৪ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে

জনৈক শীর্ষস্হানীয় সিভিল সার্ভেন্ট জানিয়েছেন, সরকারের ফারলো স্কীমের প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন পাউন্ড প্রতারণামূলকভাবে কিংবা মিথ্যা দাবির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এইচএমআরসি- এর প্রধান নির্বাহী জিম হাররা বলেন, তার স্টাফরা মনে করেন ফারলো ক্যাশের ৫ থেকে ১০ শতাংশ অর্থ অযোগ্য দাবিদারদের নিকট প্রেরিত হয়ে থাকতে পারে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকার এ পর্যন্ত ফারলো ক্যাশের ৩৫.৪ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, ১.৭৫ বিলিয়ন থেকে ৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ড ভুলভাবে পরিশোধিত হতে পারে।
গত সোমবার পারমানেন্ট সেক্রেটারি পাবলিক একাউন্টস কমিটিতে এমপিদেরকে বলেন যে, অন্যায় দাবি পরিকল্পিত প্রতারণা থেকে ভুলত্রুটি পর্যন্ত বিস্তৃত।

মিঃ হাররার আরো বলেন, আমাদের ঝুঁকি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যা আমরা বলেছি তা হচ্ছে, আমরা ঐসব নিয়োগদাতাদের খুঁজে বের করতে যাচ্ছিনা যারা তাদের দাবিসমূহ প্রস্তুতে যৌক্তিক ভুল করেছেন, কারণ স্পষ্টত:ই এটা নতুন একটি বিষয়, যাতে প্রত্যেকে একটি অত্যন্ত জটিল সময়ের মধ্যে আটকা পড়তে হয়েছিলো।
তিনি বলেন, আমরা নিয়োগদাতাদের কাছে তাদের দাবিসমূহের পরীক্ষা এবং যেকোন অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদান প্রত্যাশা করি। আর এভাবে অপব্যবহার ও প্রতারণা মোকাবেলায় আমরা মনোনিবেশ করতে পারি।
এইচএমআরসি কর্তৃক এটাই প্রথমবারের মতো সম্ভাব্য প্রতারণার পর্যায় সম্পর্কে জনসমক্ষে বক্তব্য প্রদান, যা জব রিটেনশন স্কীমের অংশ হিসেবে এর অধীনে সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে, যাতে ফারলো অবস্থায় কর্মচারীদের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন পরিশোধিত হয়। সরকার অত্যন্ত দ্রুততার সাথে নজিরবিহীন এই কর্মসূচী গ্রহণ করেন, যাতে একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থের প্রতারণার বিষয়টি অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ফারলো স্কীম এখন সমাপ্তির পথে এবং আগামী মাসে এটা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের স্টাফদের ফারলো থেকে ফিরিয়ে আনবেন, তাদেরকে আরো ১ হাজার পাউন্ড প্রদান করা হবে যদি ঐ কর্মচারী জানুয়ারীর শেষভাগ পর্যন্ত কাজ করে যান। চলতি সনের ১৬ আগস্ট নাগাদ ৯৬ লাখ লোক সরকার সমর্থিত ফারলোতে অন্তর্ভুক্ত হন, যাতে ১২ লাখ কর্মচারী এই সহায়তা দাবি করেন। ইতোমধ্যে প্রায় ২৭ লাখ আত্ম-কর্মসংস্হানকৃত লোক সরকারের নিকট প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা দাবি করেছেন।
মিঃ হাররা বলেন, একটি একাডেমিক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, প্রতারণা ও ভুলত্রুটির পরিমাণ আর ১০ শতাংশেরও বেশী হতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button