করদাতাদের ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় ডিজেবিলিটি বেনিফিট দাবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে

ব্রিটিশ সরকার গত ২ বছরে পঙ্গুত্বের জন্য অর্থ সুবিধার দাবি মেটাতে করদাতাদের ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি ব্যয় করেছে, যদিও ট্রাইব্যুনাল আপীল সমূহের দুই তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রে তারা হেরেছে।  পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক এন্ড পেনশন্স (ডিডব্লিউ পি) ২০১৮-১৯ সালে দুটি প্রধান ডিজেবিলিটি বেনিফিট অর্থাৎ পঙ্গুত্ব সুবিধা দাবির আপীল প্রক্রিয়ার জন্য স্টাফ খরচ বাবদ ৬১ মিলিয়ন পাউন্ড ঢেলেছে, ২ বছর আগে যা ছিল ৪৪ মিলিয়ন পাউন্ড।
একই সময়ে পার্সোনাল ইন্ডিপেন্ডেন্স পেমেন্ট (পিআইপি) এবং এমপ্লয়মেন্ট সাপোর্ট এলাউন্স (ইএসএ) হিসেবে পরিচিত বেনিফিটের দাবীসমূহের সংখ্যা ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে, যা এটাই ইঙ্গিত করে যে, ব্যয় বৃদ্ধি আবেদনপত্রের সংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশী।

দাবীদারদের মামলা ট্রাইবুনালে যাওয়ার আগে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে বাধ্যতামূলক পুনঃবিবেচনা নামক ডিডব্লিউপি’তে দায়েরকৃত একটি অভ্যন্তরীন আপীলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, যেখানে সরকার তাদের মামলাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, পিআইপি’র ৭৬ শতাংশ এবং ইএসএ’র ৭৫ শতাংশ ট্রাইবুন্যাল শুনানীতে নিষ্পন্ন আপীলই দাবিদারদের অনুকুলে চলে যাচ্ছে।
ওয়ার্ক এন্ড পেনশন্স কমিটির সভাপতি লেবার পার্টির এমপি স্টিফেন টিম্স বলেন, পিআইপি এবং ইএসএ-এর দাবির ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ডিডবিøউপি’র অব্যাহত ব্যর্থতা ডিজেবল অর্থাৎ অক্ষম বা পঙ্গু ব্যক্তিদের উপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলছে জনগণের অর্থে ‘বিস্ময়কর খরচ’ সংঘটন করে। ট্রাইব্যুনালে এসব মামলা লড়ার পরিবর্তে হেরে যাওয়ার বিষয়টি আঁচ করে ডিপার্টমেন্টের উচিত বিপুল অর্থ গচ্ছা দেয়া থেকে নিজেকে রক্ষা এবং প্রথম পর্যায়ে পঙ্গু লোকজনকে তাদের প্রাপ্য বেনিফিটের অর্থ পরিশোধ করে দেয়া।
ক্যাম্পেইনাররা বলেন, বিপুল অর্থ রুটিন অশুদ্ধতায় বিভ্রান্ত একটি প্রক্রিয়ার জন্য আপীলের পেছনে ব্যয় একটি শংকার বিষয় এবং এই বলে তারা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন যে, বর্তমান পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা পেতে ডিজেবল বা অক্ষম লোকজনের জন্য কষ্টদায়ক বিলম্ব সৃষ্টি করছে।
জানা গেছে, কয়েক লাখ অসুস্থতা ও ডিজেবিলিটি বেনিফিটের দাবিদার কয়েক মাস যাবৎ আপীল প্রক্রিয়া শুরুর প্রতিক্ষায় আছেন, কারণ ডিডব্লিউপি ষ্টাফদের তাদের নির্ধারিত কর্মকান্ড থেকে সরিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
২০১৩ সালে ডিজেবিলিটি লিভিং এলাউন্স (ডিএলএ)-এর পরিবর্তে পিআইপি’র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নামক একটি বেনিফিট চালু করায় দাতব্য সংস্থাগুলো এর কঠোর সমালোচনা করে। তাদের মতে, এর মাধ্যমে দাবিদারদের তাদের প্রাপ্য সহায়তা লাভের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
ডিডব্লিউপি’র জনৈক মুখপাত্র বলেন, ইএসএ এবং পিআইপি দাবিদারদের সংখ্যা গত ২ বছরে এক চতুর্থাংশে হ্রাস পেয়েছে। এটা আমাদের সেবার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সন্তুষ্টির ইংগিতবাহী। আমরা লোকজনকে তাদের যোগ্য সহায়তা পেতে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button