ফারলো স্কীমের ৭০ হাজার পাউন্ড প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানী পরিচালক ও একাউন্ট্যান্ট গ্রেফতার
ব্রিটিশ রেভিনিউ এন্ড কাস্টমস-এর কর্মকর্তারা করোনাভাইরাস জব রিটেনশন স্কীম-এর ৭০ হাজার পাউন্ড প্রতারণার দায়ে সন্দেহভাজন ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন। এইচএমআরসি জানায়, এই দুই ব্যক্তি হচ্ছেন ৫১ বছর বয়সী জনৈক কোম্পানী ডিরেক্টর এবং ৪৩ বছর বয়সী একাউন্ট্যান্ট। তাদেরকে গত বৃহস্পতিবার তাদের ওয়ালথামস্টো এবং রমফোর্ড-এর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ব্রিটেনের ফারলো স্কীমের অধীনে প্রতারণামূলক কিংবা অসৎ দাবির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সরকার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অফিশিয়াল মুখপাত্র বলেন, অন্যায়ভাবে হাতিয়ে নেয়া করদাতাদের যে কোন অর্থ ফিরিয়ে আনতে সম্ভব সবকিছু করতে ডাউনিং স্ট্রিট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে এইচএমআরসি ২৭০০০ হাই-রিক্স দাবির দিকে নজর দিয়েছে এবং এখন সন্দেহজনক প্রতারণার বিষয়ে বেশ কিছু তদন্ত চলছে। গত মঙ্গলবার একটি ওয়েস্ট মিনিষ্টার ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
এরপর এই মর্মে প্রকাশ পায় যে, ন্যাশনাল জব রিটেনশন স্কীমের অধীনে প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন পাউন্ড ভুলভাবে প্রদত্ত হয়ে থাকতে পারে। এইচএমআরসি-এর প্রধান নির্বাহী জিম হাররা বলেন, তার স্টাফদের বিশ্বাস, ফারলো স্কীমের ৫ থেকে ১০ শতাংশ নগদ অর্থ অযোগ্য দাবিদারদের কাছে প্রেরিত হয়ে থাকতে পারে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকার ফারলোর অধীনে ৩৫.৪ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে। গত সোমবার পাবলিক একাউন্টস কমিটিতে পারমান্যান্ট সেক্রেটারী এমপিদের বলেন, অন্যায় দাবিগুলোতে পরিকল্পিত প্রতারণা থেকে শুরু করে ভুলত্রুটিও বিদ্যমান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, যে সব ক্ষেত্রে প্রকৃতই একটি ভুল সংঘটিত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা ঠিক করে নিতে এইচএমআরসি নিয়োগদাতাদের সাথে কাজ করবে। তবে যে সব ক্ষেত্রে প্রতারণা, অসততা এবং ভুল তথ্য প্রদানের সন্দেহ হবে, সে ক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধ স্থগিত হতে পারে কিংবা পুনরায় ফেরত দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ফারলো স্কীম এখন সমাপ্তির পথে এবং আগামী মাসে এটা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের স্টাফদের ফারলো থেকে ফিরিয়ে আনবেন, তাদেরকে আরো ১ হাজার পাউন্ড প্রদান করা হবে যদি ঐ কর্মচারী জানুয়ারীর শেষভাগ পর্যন্ত কাজ করে যান। চলতি গত ১৬ আগস্ট নাগাদ ৯৬ লাখ লোক সরকার সমর্থিত ফারলোতে অন্তর্ভুক্ত হন, যাতে ১২ লাখ কর্মচারী এই সহায়তা দাবি করেন। ইতোমধ্যে প্রায় ২৭ লাখ আত্ম-কর্মসংস্হানকৃত লোক সরকারের নিকট প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা দাবি করেছেন।