ফারলো স্কীমের মেয়াদ বাড়াতে ব্রিটিশ চ্যান্সেলরের প্রতি আহবান
আগামী মাসগুলোতে চাকুরী হারানো প্রতিরোধে ফারলো স্কীমের সম্প্রসারণের পাশাপাশি লক্ষ্যকৃত আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি যত্নের সাথে বিবেচনার আহবান জানিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। তারা ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকের প্রতি এ আহবান জানান। রক্ষণশীল দলের এমপি মেল স্ট্রাইড-এর সভাপতিত্বে হাউস অব কমন্স ট্রেজারি কমিটি, লেবার পার্টি, ইউনিয়নসমূহ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সবাই একযোগে চাকুরীর জন্য অতিরিক্ত সহায়তা প্রদানে মন্ত্রীদের প্রতি আহবান জানান।
অর্থনীতিবিদরা এই মর্মে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছেন যে, যুক্তরাজ্য চাকুরী হারানোর একটি টেউ মোকাবেলা করছে যা আশির দশকে দৃশ্যমান মারাত্মক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছতে পারে যদি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা না হয়।
একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদনে ট্রেজারি কমিটি এই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, যদি জব রিটেনশন স্কীমের মেয়াদ বর্ধিত করা না হয়, তবে গণবেকারত্ব দেখা দিতে পারে। এই স্কীম ফারলোকৃত শ্রমিক-কর্মীদের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কাভার করে থাকে। এদিকে আগামী ৩১ অক্টোবর এই স্কীমের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
মিঃ স্ট্রাইড বলেন, চ্যান্সেলরের উচিত করোনাভাইরাস জব রিটেনশন স্কীম বর্ধিত করার বিষয়টি যত্নের সাথে বিবেচনা করা এবং তার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা প্রদান।
দ্য রিসোলিউশন ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী টোরস্টেন বেল বলেন যে, চ্যান্সেলরের সহায়তা প্রদান পরিকল্পনাসমূহের পুনঃবিবেচনা করা আবশ্যক । তিনি ট্রেজারী কর্মকর্তাদের কমিটির প্রতিবেদন আবশ্যকীয়ভাবে পাঠের জন্য আহবান জানান।
তিনি বলেন, অর্থনীতির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর জন্য সহায়তা সম্প্রসারিত করা আবশ্যক, যাতে আগামী মাসগুলোতে ব্রিটেনে বেকারত্ব বৃদ্ধি সীমিত করা যায়।
টিইউসি-এর জেনারেল সেক্রেটারী ফ্রান্সিস ও’গ্রাদি বলেন, সকল দলের এমপিগণ এখন অক্টোবরের পরেও সহায়তা প্রদানের আহবান জানাচ্ছেন, যাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ একটি সহনীয় ভবিষ্যত লাভ করে এবং তাদের স্টাফদের ছাঁটাই করতে না হয়।
ফেডারেশন অব স্মল বিজনেসেজ -এর চেয়ারম্যান মাইক চেরী বলেন, নীতি নির্ধারকদের উচিত জব রিটেনশন স্কীমের একটি সম্ভাবনাময় উত্তরাধিকারী খুঁজে পেতে গাঢ় দৃষ্টি প্রদান।