লকডাউন পরবর্তী সময়ে লন্ডনে বাড়িঘরের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি
রাজধানী লন্ডনে গত জুন মাসে বাড়িঘরের দাম গড়ে ৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ ৪৯০৪৯৫ পাউন্ডে উন্নীত হয়। এটা এর আগে ২০১৭ সালের জুলাই মাসের তুলনায় প্রায় ২ হাজার পাউন্ড বেশী। ল্যান্ড রেজিষ্ট্রি পরিসংখ্যান অনুসারে বার্ষিক মূল্য বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুন অর্থাৎ ২.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
প্রোপার্টি এক্সাপার্টরা বলেন, গ্রীষ্মকাল থেকে প্রথম ৫ লাখ পাউন্ডের একটি বিক্রয়ের ওপর স্টাম্প ডিউটি মওকুফ বাড়িঘরের দাম বৃদ্ধিকে অধিকতর ত্বরান্বিত করেছে। এই মওকুফ বা ছাড় জুলাইয়ে কার্যকর হয়। তবে এই বৃদ্ধি প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের জন্য বিব্রতকর, যারা প্রোপার্টি লেডারে বা সম্পদ সিঁড়িতে পা রাখার জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করছেন এবং তরুন পরিবারগুলো অপেক্ষাকৃত বড়ো বাড়িঘরে ওঠার চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বড়ো বার্ষিক বৃদ্ধি দেখা যায় ইজলিংটন-এ, যেখানে বার্ষিক বৃদ্ধি ৮.৭ শতাংশ লক্ষনীয়। অপরদিকে ওয়ালথ্যাম ফরেস্ট-এ ৭.৩ শতাংশ, কেনসিংটন এন্ড চেলসি-তে ৭.১ শতাংশ এবং লিউয়িসহামে ৭ শতাংশ দেখা যায়।
বেনহাম এন্ড রীভস-এর এজেন্টদের পরিচালক মার্ক ভন গ্রান্ডহার বলেন, আমরা ক্রেতা চাহিদায় এমন আকাশচুম্বী বৃদ্ধি দেখতে শুরু করেছি, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাজারকে ভাসিয়ে দিয়েছে এবং যা দৃঢ় বাড়িঘরের মূল্যবৃদ্ধিতে রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে বিক্রয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জড়িত।
তিনি আরো বলেন, এটা অনস্বীকার্য প্রমান যে, মার্কেট এখন মহামারির মূল্যপতনের শেকল ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে এবং একটি সম্পূর্ণ উল্লেখযোগ্য গতিতে ফিরে যাওয়া ত্বরান্বিত হয়েছে।