ভাষণ দিলেন না ট্রাম্প

জাতিসঙ্ঘের ৭৫ বছর: সংষ্কার দাবি সদস্য দেশগুলোর

জাতিসঙ্ঘ ৭৫ বছরে পা দিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখতে যে প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছিল, তার ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান বিতর্কের বাইরে থাকল না। সৌজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার নাম ছিল প্রথম বক্তা হিসেবে। কিন্তু ট্রাম্প বলেননি। তার জায়গায় বললেন জাতিসঙ্ঘে আমেরিকার অ্যাকটিং ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ। তিনি বলেছেন, ‘জাতিসঙ্ঘ অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে। আবার এই সংগঠন নিয়ে উদ্বেগের কারণও আছে। অনেক দিন ধরে জাতিসঙ্ঘে সংস্কার হচ্ছে না। সেখানে স্বচ্ছতা নেই।’
ঘটনা হলো, এমন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, যেখানে জার্মানির চ্যান্সেলর মার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ অধিকাংশ রাষ্ট্রনেতা ভাষণ দিয়েছেন, সেখানে ট্রাম্প এই অনুষ্ঠানকে গুরুত্ব দিলেন না। তবে এরপরেও অনেক দেশই নাম উল্লেখ না করে আমেরিকার প্রবল সমালোচনা করেছে।
যেমন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার কোনো দেশের নেই। একতরফা আধিপত্যের সময় আর নেই। সেই সুযোগও কাউকে দেয়া উচিত হবে না।’
জার্মানির চ্যান্সেলার মার্কেল বলেছেন, ‘জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরো ঐক্য থাকা দরকার। তার মতে, যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার, তখন জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই জাতিসঙ্ঘের সংস্কার দরকার।’
মার্কেলের মতে, ‘কেউ যদি মনে করে, এখানে তাদের স্বার্থ দেখা হবে, তা হলে তারা ভুল করছে। আমরা আমাদের ভালো-মন্দ ভাগ করে নেব। আমরা সকলে মিলে একটাই পৃথিবী।’
আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ মনে করেন, ‘এই সংগঠনের ভিত দুর্বল হচ্ছে। যারা এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, তারাই একে আঘাত করছে।’
মার্কেল ও মাক্রোঁ নাম নেননি, কিন্তু তারা যে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির বিরুদ্ধাচরণ করছেন তা বুঝতে ভুল হয় না।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব গুতেরেসের ভাষণে উঠে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, ঘৃণা, করোনাসহ নানা প্রসঙ্গ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button