‘প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার পদের যোগ্য নন’

দলকে বিজয়ী করতে লেবার নেতা কেইর স্টার্মার’র আহ্বান

লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টার্মার সম্প্রতি তার দলকে বিজয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণ যাতে তাদের নিরাপত্তা ও অর্থের ব্যাপারে দলটির ওপর আস্থা রাখতে পারে, তাই দলকে অবশ্যই বদলাতে হবে। জেরেমি করবিনের নেতৃত্বের ব্যাপারে একটি সীমানা অংকন করে তিনি এই বলে সর্তক করে দেন যে, এখনো অনেক কিছু করার বাকী। তিনি বলেন, বরিস জনসন তার কাজের যথেষ্ট উপযোগী নন। ভোটাররা ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের চাবি দিয়ে আবার লেবার পার্টির প্রতি তাদের আস্থা দেখাবে। দলের নেতা হিসেবে তার প্রথম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে অধিক যোগ্য ও নীতিবান হওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেন এবং ডিরেক্টর অব পাবলিক প্রসিকিউশন্স হিসেবে তার রেকর্ডের প্রতি ইংগিত করে বলেন, এই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও আমার মধ্যে বড়ো ধরনের ব্যবধান।

তিনি বলেন, যখন বরিস জনসন বেন্ডি কলা নিয়ে ফ্লিপপ্যান্ট কলাম লিখছেন, তখন আমি ঘটনার শিকার ব্যক্তিগণকে রক্ষা করছি এবং সন্ত্রাসীদের আদালতের কাঠগড়ায় নিয়ে আসছি। যখন তিনি একটি উদ্ধৃতির জন্য একটি পত্রিকা কর্তৃক বরখাস্ত হচ্ছেন, তখন আমি বিচার ও আইনের শাসনের জন্য লড়াই করছি।
কেইর স্টার্মার আরো বলেন, আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম মানুষের জীবনের পরিবর্তন ঘটাতে। কিন্তু জনগণ যতক্ষন না কাউকে বিশ্বাস করে ততক্ষণ তিনি তা করার অনুমতি পাবেন না। এবং এই বিশ্বাস অর্জনের জন্য আমাদেরকে অনেক কিছু করতে হবে। যে কাজ করা প্রয়োজন সেই কাজকে আমি খাটো করে দেখিনা। স্যার কেইর স্টার্মার বলেন যে, দলের যে সব সদস্য সেমিটিক বিরোধী মন্তব্য করেন তাদের ব্যাপারে কঠোর হওয়া মাধ্যমে দলে পরিবর্তন আনার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এখন বিজয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়ার সময়। এর অর্থ হচ্ছে আমাদের পরিবর্তন সাধন করতে হবে এবং এটাই আমরা করছি। তিনি বলেন, এটা একটি দল, যা এখন নতুন নেতৃত্বের অধীনে। আমি দলের নেতা হিসেবে আমার প্রথম দিনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমরা অ্যান্টিসেমিটিজমের মূলোৎপাটন করবো যা আমাদের দলকে সংক্রমিত করেছে। আমরা অগ্রগতি অর্জন করছি। এবং আমরা এর শেকড় উপড়ে ফেলবো চিরদিনের জন্য। আমরা একটি যোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী দল হয়ে ওঠছি।
তিনি বলেন, মিঃ জনসনের সরকার অযোগ্য এবং ব্রিটেনকে তারা পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। একটি দ্বিতীয় লকডাউনের বিষয়ে কিছুই অনিবার্য হওয়া উচিত নয়। এটা হবে সরকারের ব্যর্থতার লক্ষণ, কোন ঐশ্বরিক কার্য নয়। একটি জাতীয় লকডাউন প্রতিরোধে আমাদের একটি জাতীয় প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button