জনমত জরীপ
প্রথম বারের মতো লেবার পার্টি রক্ষণশীলদের চেয়ে এগিয়ে
বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো লেবার পার্টি রক্ষণশীল দলের চেয়ে এগিয়ে আছে বলে জনমত জরীপে প্রকাশিত হয়েছে। ‘অপিনিয়াম’ কর্তৃক সর্বশেষ জরীপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ লোক স্যার কেইর স্টার্মারের দলকে ভোট দিতে আগ্রহী, যখন ৩৯ শতাংশ লোক রক্ষণশীলদের ভোট দানে ইচ্ছুক। গত মার্চে করোনা ভাইরাস সংকট শুরু হলে রক্ষণশীলরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলো।
গত মাসের জরীপে উভয় দল সমান সমান ছিলো। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা স্যার এড ডেভিকে তাদের নতুন নেতা নির্বাচিত করার পর থেকে সমর্থন অর্জনের কোন লক্ষণ দেখাতে পারেন নি। তারা ৫শতাংশে রয়েছে ১পয়েন্ট কর্তনের পর।
এই জরীপে আরো দেখা যায় যে, স্যার কেইর লেবার পার্টির অভিমতে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। ৪০ শতাংশ ভোটার মনে করেন যে, লেবার পার্টি আগামীতে সরকার গঠন করবে এবং ৫৫ শতাংশ মনে করেন যে স্যার কেইর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তুত। স্যার কেইর ‘সেরা প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বরিস জনসনের চেয়ে ৩২ থেকে ৩৬ শতাংশ বেশী ভোটে এগিয়ে।
অপিনিয়াম বলেছে, সরকারের মহামারি মোকাবেলার বিষয়টি ভোট জরীপে রক্ষণশীলদের পতনের জন্য দায়ী। সামগ্রিক সংকট মোকাবেলায় রক্ষণশীলদের প্রতি ৫০ শতাংশ লোক অসন্তোষ ব্যক্ত করেন, অপরদিকে সনাক্তকরনের কাজে তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট। ৫৭ শতাংশ লোক ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে সমর্থন করেন, তখন ৬০ শতাংশ মনে করেন যে, দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ ঠেকাতে আরো বেশী নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। লোকজনের বেশীর ভাগ (৮৬ শতাংশ) বলেন, তারা সাধারনত: কঠোরভাবে নীতিমালা অনুসরণ করছেন। ২০১৯ সালে জুলাই মাসে শেষবারের মতো লেবার পার্টি জরীপে এগিয়ে ছিলো, যখন জেরেমি করবিন লেবার পার্টির নেতা ছিলেন এবং থেরেসা মে’র মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছিলো। ২০১৭ সালে সাবেক লেবার পার্টির ব্যাপারে টনি ব্লেয়ার জরীপের একটি ফল রেফার করেন, যা মি: করবিনের সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করে। জরীপে অন্য যে কোন নেতা করবিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়।