নিহত অন্তত ৯৫ জন
যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার আর্মেনিয়রা
আর্মেনিয়ান রেজিমেন্ট ধ্বংস করলো আজারবাইজান, শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু
আর্মেনিয়ান দখলদার নেতা আরায়িক হার্টিউইয়ান আজারবাইজানের সাফল্যের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন, নতুন সংঘর্ষের ফলে তারা আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর কাছে নাগার্নো-কারাবাখের কিছু এলাকা হারিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এসময় সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। দক্ষিণ ককেশাসের নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে রোববার থেকে নতুন করে শুরু হওয়া আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে মঙ্গলবার আজারবাইজানের সেনাবাহিনী খোজাভান্দ অঞ্চলে অবস্থিত আর্মেনিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর একটি রাইফেল রেজিমেন্টকে ধ্বংস করেছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ভগিফ দারগাহলি আজারটেক সংবাদ সংস্থাকে মঙ্গলবার জানায়, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী হামলা চালিয়ে খোজাভান্দ অঞ্চলের আর্মেনিয়ান ৩য় মার্টুনি রাইফেলধারী সেনাদলকে ধ্বংস করে।
দারগাহলি আরো জানান, এর ফলে আর্মেনিয়ান বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। ঐ রেজিমেন্টটি সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হয়েছে। আরো এক শীর্ষ আর্মেনিয়ান সেনা কমান্ডারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছে। গত দু’দিন ধরে চলা সংঘর্ষে সোমবার পর্যন্ত ৮৪ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরো ১১ জন বেসামরিক লোক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে আজারবাইজানের ৯ জন ও আর্মেনিয়ার ২ জন। এনিয়ে মোট ৯৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার এ সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এই যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইনের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অতিসত্বর আজারবাইজানের ভূমি থেকে আর্মেনিয়ার সরে যাওয়া উচিত।
সোমবার এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, আমি আবারো আর্মেনিয়ার নিন্দা করছি। যারা গতকাল (রবিবার) আজারবাইজানের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। বলেন, বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃপ্রতীম আজারবাইজানের প্রতি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা অন্তর থেকে অব্যাহত রাখবে তুরস্ক।
এরদোগান বলেন, আজারবাইজানের ভূখণ্ড দখলের মাধ্যমে আর্মেনিয়া যে সংকটের তৈরি করেছে তা নিরসনের সময় এখনই। আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আর্মেনিয়ার উচিৎ আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়া। সবধরনের নিষেধাজ্ঞা, হুমকি, সম্পূর্ণ অন্যায় এবং বেআইনি। বাস্তবসম্মত এবং সুন্দর একটি সমাধানের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশগুলোর একটি বড় সুযোগ।