৫৫২.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ কমেছে ব্রিটিশ রানির
ব্রিটেনে রানির অঢেল ধন-সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৭টি শপিং সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশটির রাজকীয় সম্পত্তির দেখভাল করা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এস্টেটস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের আর্থিক মূল্য কমে গেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। যার ফলে ৫৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড সমমানের সম্পদ কমেছে ব্রিটিশ রানির। ১৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড সম্পত্তির মালিক ব্রিটেনের রানির কাছে কয়েক মিলিয়ন হারানো হয়তো বড় কিছু নয়। কিন্তু, বাজার পরিস্থিতি চিন্তা করলে এর ফলাফল ভয়াবহ। ক্রাউন স্টেটসের শঙ্কা, আগামী বছর ব্রিটেনে বাণিজ্যিক সম্পত্তির মূল্য ও মুনাফায় বড় ধস নামতে পারে।
করোনা মহামারির মধ্যে অনলাইনে কেনাকাটার হার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, সেবাখাত ও অফিসগুলোর ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। বাণিজ্যিক সম্পত্তির মালিকদের জন্য এর কোনোটাই ভালো খবর নয়। সম্প্রতি ব্রিটেনের ২৪টি বৃহত্তম বিনিয়োগ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত জরিপ শেষে ইনভেস্টমেন্ট প্রোপার্টি ফোরাম (আইপিএফ) নামে একটি বাণিজ্যিক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২০ সালে এ খাতে মূলধনের পরিমাণ ১২ শতাংশ কমে যেতে পারে। শুধু সংখ্যা দেখে কখনোই পুরো চিত্রটা বোঝা সম্ভব নয়। বর্তমানে ব্রিটেনের শিল্প ইউনিটগুলো তুলনামূলক ভালো অবস্থানে থাকলেও বিপদে রয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা; বিশেষ করে শপিং সেন্টারগুলোর ওপর দিয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় ঝড়। আইপিএফের জরিপ বলছে, সংকটকালে শপিং সেন্টারগুলোর মূল্য ২৮ শতাংশ এবং অন্যান্য খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোর মূল্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, যেগুলো একসময় শপিং সেন্টারগুলোর প্রধান ভাড়াটিয়া ছিল এবং ক্রেতা টেনে আনা রেস্টুরেন্টগুলো ব্যাপক হারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে শপিং সেন্টারগুলো।
ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পতির মোট মূল্য কত, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ। তবে কিছু কিছু বাণিজ্য সংস্থার ধারণা, এটি ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন পাউন্ড হতে পারে। সুতরাং, শতাংশের হিসাবে খুবই সামান্য মূলধন কমলেও মোট অর্থের পরিমাণে তা বিশাল অংক হওয়ার কথা। ২০১৮ সালে ব্রিটেনে বিনিয়োগকৃত স্টকের আকার ৫১২ বিলিয়ন পাউন্ড জানিয়েছিল আইপিএফ। চলতি বছরে তা অন্তত ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড কমতে পারে।