ইস্ট লন্ডন মসজিদের তৃতীয় ‘রাইড ফর ইউর মস্ক’ অনুষ্ঠিত: ৫০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহের টার্গেট
ইস্ট লন্ডন মসজিদের উদ্যোগে ৫০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো “রাইড ফর ইউর মস্ক” ফান্ডরেইজিং কর্মসূচি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার ক্যাম্ব্রিজ-টু-লন্ডন রুটে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮টি গ্রুপে ৬জন করে ৪৮জন সাইক্লিষ্ট অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার সকাল ৭টার মধ্যে ইস্ট লন্ডন মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাইকেল চালকরা জমায়েত হন। সেখানে সকলের শারিরীক চেকআপ সম্পন্ন করা হয়। এরপর তাঁরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ট্রেনে করে ক্যাম্ব্রিজ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন এবং সকাল সোয়া ৯টায় ক্যাম্ব্রিজ ইকো মসজিদ সংলগ্ন একটি পার্কে মিলিত হন। পাশাপাশি একটি ভ্যানে করে তাঁদের সাইকেলগুলোও ক্যাম্ব্রিজ পৌঁছে যায়। সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় সাইক্লিস্টদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া। এরপর সকাল ১০টায় একযোগে ৮টি গ্রুপে ৪৮জন সাইক্লিষ্ট লন্ডন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। রাস্তায় চারটি স্থানে যাত্রা বিরতি দিয়ে ৬০ মাইল পথ সাইকেল চালিয়ে প্রথম গ্রুপটির ইস্ট লন্ডন মসজিদে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টা। এসময় সাইক্লিস্টদের সহযেগিতায় ৪টি সাপোর্ট পরিবহনও সঙ্গে ছিলো।
বিকেলে অংশগ্রহণকারীরা ফিরে এলে লন্ডন মুসলিম সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিসিয়েশন সিরিমনি। এতে অংশগ্রহণকারীদের মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদ এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব খান ও ইভেন্ট অর্গানাইজার তজমুল আলী। রাইড ফর ইউর মস্ক কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ইস্ট লন্ডন মস্ক এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ফাইন্যান্স এন্ড কমিউনিটি এনগেইজমেন্ট ডাইরেক্ট দেলওয়ার খান ও ট্রাস্টি হোসেন শিপার।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ‘রাইড ফর ইউর মস্ক’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সাইকেল রাইডিংয়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন আমরা মসজিদের জন্য ফান্ডরেইজ করতে পারছি, অন্যদিকে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উদ্ধুদ্ধ হচ্ছি। তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে আমাদেরকে বেশির ভাগ সময়ই গৃহবন্দী অবস্থায় সময় কাটাতে হচ্ছে। তাই এই সময়ে এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আমরা আমাদের একাকীত্ব ঘুচাতে পারবো।
ভাইস প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বলেন, তরুণদের মধ্যে আমরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশাবাদী, এই কর্মসূচি শুধু যুক্তরাজ্যের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা, ভবিষ্যতে ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আয়োজন করা সম্ভব হবে। তিনি অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান। অংশগ্রহনকারী সকলেই অর্থদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ৫০ হাজার পাউন্ড ফান্ডরেইজিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে ২০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ হয়েছে। তবে ফান্ডরেইজিংয়ের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫০ হাজার পাউন্ডের লক্ষ্যমাত্রা পুর্ণ হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি