ব্রিটেনে মর্গেজ হলিডে শেষে লোকজনের বাড়িঘর হারানোর আশংকা
থিংক ট্যাংক বলেছেন, ফারলো স্কীম শেষ হওয়ার পর বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লোকজনকে জরুরী ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান আবশ্যক। অন্যথায় তারা তাদের চাকুরি ও বাড়িঘর হারানোর আশংকা বিদ্যমান। দ্য সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ যারা চাকুরী হারিয়েছেন তাদেরকে সহায়তার জন্য বেনিফিটের জরুরী সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
সেন্টার জানিয়েছে, সরকার যদি বাড়ির মালিকদের জন্য বেনিফিটসমূহের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে এই শীতে অনেক লোক তাদের চাকুরী এবং বাড়িঘর হারাবে। আগামী মাসে ফারলো স্কীম শেষ হলে ব্যাপক অনটনের আশংকা রয়েছে।
চাকুরী হারিয়ে এসময়ে যাদের মাথার ওপরের ছাদ হারানোর আশংকা রয়েছে তাদের রক্ষায় পরবর্তী সহায়তা প্রয়োজন।
সেন্টার আরো সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, এমনকি নতুন জব সাপোর্ট স্কীম সত্বেও বিপুল সংখ্যক গৃহস্থালী তাদের মর্গেজ পরিশোধে সক্ষম হবে না, যদি তাদের মজুরী হ্রাস করা হয় কিংবা তারা তাদের চাকুরী হারায়।
এই সমস্যা মোকাবেলায় স্বল্প আয়ের বাড়িঘরের মালিকদের সহায়তার জন্য বিদ্যমান সাপোর্ট ফর মর্গেজ ইন্টারেস্ট (এসএমআই)-এর জরুরী ভিত্তিতে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে জোসেফ রাউনট্রি ফাউন্ডেশন-এর সহায়তাপ্রাপ্ত সিপিএস-এর প্রতিবেদন।
সংস্কারকৃত স্কিম প্রথম তিন মাসের মর্গেজ পেমেন্ট কাভারে বাড়ির মালিকদের দেবে একটি মঞ্জুরি এবং পরবর্তী মাসগুলোতে দেবে একটি ঋণ সুবিধা। এভাবে সাপোর্ট লাভের জন্য নয় মাস অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে।
রাউনট্রি ফাউন্ডেশন-এর পলিসি ম্যানেজার ড্যারেন বাক্সটায় বলেন, এমনকি করোনাভাইরাস শুরুর আগেই বাড়িঘরের মালিকদের এক-তৃতীয়াংশ দারিদ্র্যের মধ্যে নিমজ্জিত ছিলো। এখন তাদের সংখ্যা আরও বেড়েছে। যেহেতু মর্গেজ হলিডে’র জন্য আবেদনের শেষ সময় সীমা দ্রুত শেষ হয়ে আসছে তাই সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এখনই।