মহামারীর কারণে ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় তরুণরা
স্বপ্নের চাকরির আশা ছেড়ে দিয়েছেন ব্রিটেনের এক-তৃতীয়াংশ তরুণ
চলমান মহামারীর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি তরুণ জানিয়েছেন যে তারা তাদের স্বপ্নের চাকরিপ্রাপ্তির আশা ছেড়ে দিয়েছেন। দ্য প্রিন্সেস ট্রাস্ট জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্যজুড়ে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণের ওপর এক জরিপ পরিচালিত করেছে। এতে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেয়া তরুণদের ৪৪ শতাংশই মহামারীর কারণে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
দ্য প্রিন্সেস ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী জনাথন টাউনসেন্ড জানিয়েছেন, মহামারী তরুণদের মনোবল দুর্বল করে দিয়েছে। এ অবস্থায় তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সেন্সাসওয়াইডের গবেষণা অনুযায়ী, ৪১ শতাংশ তরুণ বিশ্বাস করেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অর্জন করা অসম্ভব। আর এ লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব বলে মনে করছেন দরিদ্র পরিবারের ৫০ শতাংশ তরুণ।
আরো দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশের বেশি তরুণ, প্রায় ৩৮ শতাংশ মনে করছে জীবনে তারা কখনই সফল হতে পারবেন না। এ ধারণা পোষণ করছেন দরিদ্র পরিবারের ৪৮ শতাংশ তরুণ। ব্রিস্টলের পিটার হোয়াইট একজন রেল ডিসপ্যাচার হিসেবে কাজ করছেন। তার স্বপ্ন তিনি একজন ট্রেনচালক হবেন। মহামারীর আগে তিনি ট্রেনচালকদের জন্য পরিচালিত গ্রেট ওয়েস্টার্ন রেলওয়েজের ট্রেনিং প্রোগ্রামে সুযোগ পান। কিন্তু মহামারীর কারণে বর্তমানে ওই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া করোনাকালে গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে।
জরিপে আরো দেখা গেছে, এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৮%) তরুণ মনে করছেন, তারা যে চাকরি পাবেন, সেটাই গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে ৩৫ শতাংশের বিশ্বাস, তাদেরকে তাদের স্বপ্নের চাকরির আশা ছেড়ে দিতে হবে। এর বদলে জীবিকার তাগিদে তাদেরকে যেকোনো কাজ করতে হতে পারে।