ট্রাম্পের করোনা পজিটিভের খবরে ধস নেমেছে তেলের বাজারে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বাজারে অপরিশোধিত তেলের দর ব্যারেল প্রতি ৩৮ ডলারের নিচে নামে। এশিয়া ও ইউরোপের তেলের বাজারেও তা ৪০ ডলারের নিচে নেমে যায়। এমনিতে গত সপ্তাহে তেলের দর হ্রাস পেয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ভারতে কোভিড নিয়ে শঙ্কা কেটে না যাওয়ায় তেলের বাজারে চাহিদা উর্ধ্বমুখী হচ্ছে না। এ সপ্তাহে বিশ্বে তেলের চাহিদা ৩৪ মিলিয়ন ব্যারেলে স্থির ছিল। যা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ মিলিয়ন বেশি। একই সঙ্গে কোভিড সহায়তা হিসেবে আর্থিক উদ্দীপনা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি না হওয়ায় আর্থিক বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্সগুলো বেশ কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান লেঅফ ঘোষণা করায় অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ বিপাকে পড়ে। তবে মার্কিন ডেমোক্রেট পার্টির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার কোভিড সহায়তায় রিপাবলিকানদের সমর্থন ও অনুমোদনের পর বিষয়টির কিছুটা সুপ্রভাব বাজারে পড়তে পারে।
রয়টার্সের এক জরিপে দেখা যায় ওপেক সদস্য দেশগুলোর তেলের উৎপাদন সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন ১ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল বেড়েছে। এর কারণ হচ্ছে লিবিয়া ও ইরানের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি। এদুটি দেশই ওপেকের তেল উৎপাদন হ্রাস করে দর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়েছিল। লিবিয়ায় গত মাসে তেলের উৎপাদন শুরু হয়েছে একই সঙ্গে দেশটির তিনটি তেল রপ্তানি বন্দর খোলা হয়েছে। এক মাস আগে লিবিয়ার দিনে তেল উৎপাদনের পরিমান ছিল ১ লাখ ব্যারেল। দিনে ২ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করছে দেশটি।