ব্রিটিশদের মন জয় করতে হলে আরো সাহসী হতে হবে লেবার পার্টিকে
কেইর স্টার্মারের নতুন ব্যবস্থাপনা লেবার পার্টির সংখ্যালঘুদের মনোক্ষুন্ন হওয়ার কারণ হতে পারে। এমনি ধারণা অনেকের। জাতীয় জরুরী অবস্থাকালীন সময়ে কেইর স্টার্মারের লেবার পার্টি যেভাবে কম দলীয়ভাবে আচরণ করছেন, তা অনেকেরই কাছে যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর ফল পেয়েছে লেবার পার্টি। দেখা গেছে, বরিস জনসন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবারের মতো জনমত জরীপে লেবার পার্টি এগিয়ে আছে।
লেবার নেতা কেইর স্টার্মার তার লেবার কনফারেন্সের ভাষণ এবং প্রথম দলীয় রাজনৈতিক বক্তব্যে এক সিরিজ থিম উপস্থাপন করেন। বিশেষভাবে দেশপ্রেম ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন তিনি। একথা সত্য যে শিশু দারিদ্র্য ও গৃহহীনতা মোকাবেলায় রক্ষণশীল দলের একটি ভীতিকর রেকর্ড রয়েছে।
তবে এটা শুধু এই কারণে নয় যে, সামাজিক ব্যাধি নির্ণয়ে তারা যথেষ্ট যোগ্য নয়।এটা এজন্য যে, তারা এসব সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয়। গত ডিসেম্বরে করবিনের ব্যাপক পরাজয়ের পর, স্টার্মারের লেবার পার্টি স্পষ্টত:ই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। এটা বোধগম্য হচ্ছে এ ধরনের কোনো ক্ষতির মনস্তাত্বিক প্রভাবকে খাটো করে দেখা উচিত নয়।
মোটের ওপর লেবার পার্টি একমাত্র পার্লামেন্টারি শক্তি যে-কিনা ঐসব কাঠামোগত অসমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, যা লাখ লাখ মানুষকে ভালো বাড়িঘরহীনতার নিরাপদ ও মজুরীর চাকুরীর অভাব এমনকি শিশুদের যথেষ্ট খাবারের অভাবের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। করোনাভাইরাস এসবকে আরো শোচনীয় করে তুলেছে।
ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও হোঁচট খেয়ে চলা জীবন যাত্রার মানের জন্য এই যুগে, সামান্য সংখ্যক পরিবারই একটি ভালো স্থিতাবস্থার জন্য চিৎকার করছেন। আগামী মাস ও বছর গুলোতে স্টার্মারের একটি বাধ্যকর অগ্রগতি গড়ার সুযোগ রয়েছে।
বিশেষভাবে যখন একজনের ক্ষেত্রে দেশকে ভালোবাসার অর্থ হচ্ছে, এর সরকারী সার্ভিস লাভের আকাংখা পোষণ, যেক্ষেত্রে প্রকৃত নিরাপত্তার মানে হচ্ছে, একটি ভালো কাজ বা চাকুরী, যা একজনের পরিবারের জন্য একটি বড়ো পাওনা।
রক্ষণশীলদের অযোগ্যতা ও অন্যায় একত্রে বাঁধা। লেবার পার্টির কাজ জটিল, কঠিন এবং সর্বোপরি জরুরী। একমাত্র সাহসীরাই একটি পরিবর্তন সৃষ্টি করতে পারে।