ব্রিটেনে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের হার ৮০ শতাংশ
ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কথিত ‘নীরব সংক্রমণকারীর’ সংখ্যা যতটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। নতুন এক ব্রিটিশ গবেষণায় উঠে এসেছে যে, করোনা পরীক্ষা করানোর দিনে দুই-তৃতীয়াংশ আক্রান্তই উপসর্গহীন ছিলেন। ব্রিটেনে জাতীয় পরিসংখ্যান অধিদপ্তর (ওএনএ)-এর সংগৃহীত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমনটা জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা। এ খবর দিয়েছে সিএনবিসি।
খবরে বলা হয়, ‘সংক্রমণ জরিপের’ অংশ হিসেবে বৃটেনে হাজার হাজার পরিবারের করোনা পরীক্ষার তথ্য নিয়মিত সংগ্রহ করছে ওএনএ। এতে দেখা হচ্ছে, পরীক্ষা করার সময় কতজন ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গ ছিলো।
পিয়ার-রিভিউড গবেষণাটিতে, ২৬শে এপ্রিল থেকে ২৭শে জুন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করেছেন এমন ৩৬ হাজার ৬১ জন ব্যক্তির উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, তাদের মধ্যে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১৫ জন। তাদের মধ্যে ৮৬.১ শতাংশ ব্যক্তি করোনার মূল উপসর্গগুলোয় ভোগার কথা জানাননি। মাত্র ১৬ জন ব্যক্তি ভাইরাসটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপসর্গে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
গবেষক আইরিন পিটারসেন ও অ্যান্ড্রিও ফিলিপ বলেন, কোভিড-১৯ এর উপসর্গগুলো সারস-কভ-২ (নভেল করোনা ভাইরাস) চিহ্নিত করার জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাদের গবেষণাটি বৃহস্পতিবার ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকরা বলেন, সারস-কভ-২ এর সংক্রমণ কমাতে কারা আক্রান্ত তা চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আক্রান্তদের মধ্যে কতজন উপসর্গহীন ও ‘নীরব’ সংক্রমণকারী, সে বিষয়ে খুব কম জানাশোনা রয়েছে।
গবেষণাটিতে দেখা গেছে, ‘নীরব’ সংক্রমণ শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে আরো বিস্তৃত পরীক্ষা কর্মসূচির প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা কর্মসূচির সফলতায় ভিন্ন রূপ দেখা গেছে। ব্যাপক পরীক্ষা কর্মসূচি, আক্রান্তদের খুঁজে বের করা ও সংক্রমণ সীমিত করার জন্য জার্মানি প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, বিস্তৃত পরিসরে পরীক্ষা করতে বিলম্ব করেছে বৃটেন। পরবর্তীতে পরীক্ষার চাহিদা বাড়লে তা সামাল দিতে গিয়ে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে দেশটিকে।