যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবো : প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। জামায়াত-শিবির ও হেফাজত মসজিদের ভেতর কোরআন শরিফ ও মানুষ পুড়িয়ে দেশকে হেফাজত করতে চায়। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী সেতু উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয় আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নির্যাতন ও লুটপাটের রাজ্য কায়েম হয়। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি মানুষ ঘরবাড়ি পাবে, শিক্ষা পাবে, চিকিৎসা সেবা পাবে এবং পেটভরে খেতে পাবে। সবদিক থেকে দেশ বিশ্বের কাছে উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
নৌকা মার্কা জনগণের মার্কা। আগামীতে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে আবারও নৌকায় ভোট দিতে টাঙ্গাইলবাসীকে আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। ৩টা ২০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টার যোগে টাঙ্গাইল ছেড়ে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহান, আমানুর রহমান খান রানা, খন্দকার আব্দুল বাতেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটে হেলিকপ্টার যোগে টাঙ্গাইলের এলাসিন ধলেশ্বরী সেতু সংলগ্ন মাঠে অবতরণ করেন। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ধলেশ্বরী সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী মোনাজাত শেষে ২টা ৫৫ মিনিটে সেতু সংলগ্ন সমাবেশ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। এরপর বেলা ৩টায় তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মরহুম শামছুল হকের নামকরণের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।