সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সরকারের ঋণগ্রহন ৩৬ বিলিয়ন পাউন্ড
করোনাভাইরাস মহামারিকালীন সময়ে চাকুরী ও অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে সহায়তা দেওয়ার ফলে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে এই ঋণের পরিমান দাঁড়ায় ৩৬ বিলিয়ন পাউন্ড। এটা গত বছরের একই মাসের ঋণের চেয়ে ২৮.৪ বিলিয়ন পাউন্ড বেশী। ১৯৯৩ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে এটা কোন এক মাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ঋণ। এতে ফারলো স্কীমের ৪.৯ বিলিয়ন পাউন্ড এবং আত্মকর্মসংস্থানকৃত কর্মীদের সহায়তায় প্রদত্ত ১.০ বিলিয়ন পাউন্ড অন্তর্ভূক্ত। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) এই পরিসংখ্যান প্রদান করেছে। গত এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে ঋণ গ্রহনের পরিমান ছিলো ২০৮.৫ বিলিয়ন পাউন্ড। রেকর্ড শুরুর পর থেকে যেকোন এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের ক্ষেত্রে এটা সর্বোচ্চ।
যখন অর্থনীতিকে সহায়তার ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন সহায়তা প্রত্যাহারের পরিনতি মারাত্মক হতে পারে, কারন এতে লোকজন কর্ম ও বেনিফিট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং ইতোমধ্যে সংগ্রামরত ব্যবসাগুলো অধিকতর দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে, বিশেষজ্ঞরা এই বলে সাবধানবাণী উচ্চারন করেছেন।
এদিকে আগামী সপ্তাহে ফারলো স্কীমের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় এবং দেশের বড়ো অংশ কঠোর লক ডাউনের মধ্যে থাকায় একটি ক্রান্তিকাল আসন্ন বলে বিশেষজ্ঞদের আশংকা। তাদের মতে এ অবস্থায় ইতোমধ্যে আর্থিক দিক দিয়ে শুকিয়ে যাওয়া ব্যবসায়সমূহের চাকুরী ছাঁটাই ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
অবশ্য গত বুধবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে গত সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ছিলো ০.৫ শতাংশ, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে। হাউজিংসহ কনজ্যুমার প্রাইস ইনফ্ল্যাশন দাঁড়ায় ০.৭ শতাংশে। এই পরিসংখ্যান ব্যাংককে অর্থনীতিতে সহায়তা প্রদানে অধিকতর চাপ সৃষ্টি করবে। আর তা মোকাবেলা করতে, হয় নতুন অর্থ সৃষ্টি করতে হবে নতুবা প্রথম বারের মতো শূন্যের নীচে সুদের হার কর্তন করতে হবে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড- এর মুদ্রানীতি বিষয়ক কমিটির ৯ সদস্যের একজন গাটজার্ন ভিøয়েগ গত মঙ্গলবার এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সম্ভবত: অধিক পদক্ষেপ গ্রহন প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যকে একটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। চাকুরীহীনতা ইতোপূর্বের ধারনা ও পূর্বাভাস থেকে অনেক বেশী। আমার মতে, মুদ্রানীতির দৃষ্টিভঙ্গীতে অধিকতর সহায়তা প্রদানের বিষয়টি যুক্ত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।