ব্রিটেনে পাবলিক সেক্টরের খাদ্য সরবরাহ ঝুঁকির সম্মুখীন
বানিজ্য সংস্থাগুলো বলেছে, আতিথেয়তা খাতে ব্যবসায় লোকসান ঐসব পাইকারী বিক্রেতাদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যারা পাবলিক সেক্টরকে সেবা প্রদান করে থাকে। ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক এই বলে সাবধান বানী উচ্চারণ করেছেন যে, সরকার যদি সমস্যায় নিপতিত পাইকারী বিক্রেতাদের সহায়তাদানের পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে কেয়ার হোম, স্কুল, হাসপাতাল ও কারাগারসমূহে খাদ্য সরবরাহ ঝুঁকিতে পড়বে।
প্রধান খাদ্য কোম্পানীসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী বানিজ্য সংস্থাগুলো বলেছে, হসপিটালিটি অর্থাৎ আতিথেয়তা খাতে ব্যবসায় লোকসান রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউয়ে আলোড়িত হয়েছে। এছাড়া গৃহস্থালীসমূহের মধ্যে মেলামেশা সীমিত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাবলিক সেক্টরে সেবা দান বিঘিœত হয়েছে।
তারা ঋষি সুনাককে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, বানিজ্যিক খাত থেকে আয় না হলে, কেয়ার হোম, কারাগার, স্কুল ও হাসপাতালসমূহের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে খাদ্য সরবরাহ শীঘ্রই ঝুঁকিতে পড়বে।
ফেডারেশন অব হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটরস এবং ফুড এন্ড ড্রিংক ফেডারেশন বলেছে, হোলসেলার অর্থাৎ পাইকারী বিক্রেতারা বিশেষ খাদ্য প্রেরণ করে থাকে কেয়ার হোমগুলোতে এবং এটা সুপার মার্কেটসমূহ থেকে সরবরাহের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে না।
তারা টিয়ার ২ ও ৩-এর বিধি নিষেধের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় হোলসেলার অর্থাৎ পাইকারী বিক্রেতাদের বিশেষ মঞ্জুরী প্রদান ও ফারলো স্কীম বর্ধিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ঋষি সুনাকের প্রতি, যাতে সাপ্লাই ওয়্যারহাউসসমূহ বন্ধ হওয়া এড়ানো যায়। এছাড়া তারা চান হোলসেল বা পাইকারী খাতে ‘বিজনেস রেট রিলিফ’ বর্ধিত বা সম্প্রসারিত করা হোক।
তারা বলেন, জটিল পাবলিক সেক্টর ফুড এন্ড ড্রিংক সাপ্লাইয়ের সেবা অব্যাহত রাখাকে নিশ্চিত করতে উপরোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক এবং সরকারকে অবিলম্বে এগুলো চালু করতে হবে।
ব্রিটিশ ট্রেজারি বলেছে, আমরা বিশেষভাবে আতিথেয়তা খাতসহ বিভিন্ন খাতের চাকুরী সুরক্ষা, সহায়তা ও চাকুরী সৃষ্টির লক্ষ্যে মার্চ থেকে এপর্যন্ত ২০০ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী অর্থ প্রদান করেছি একটি নিবিড় পরিকল্পনার আওতায়।