“ইইউ বিধিমালা আমাদেরকে বিদেশী অপরাধীদের নিয়ে চলতে বাধ্য করেছে”
১ জানুয়ারী থেকে কঠোর ইমিগ্রেশন আইন আসছে
ব্রিটেন থেকে গৃহহীন বিদেশীদের বহিষ্কার করা হবে
ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে নতুন পদক্ষেপের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অপরাধীদের ব্রিটেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এছাড়া গৃহহীন অভিবাসীদের বহিষ্কার করা হবে দেশ থেকে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল পার্লামেন্টে তার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ১ জানুয়ারী থেকে আইন লংঘনকারী ইইউ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। এর অর্থ হচ্ছে, যেসব ব্যক্তিকে ১২ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে কিংবা যাদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে বাধা রয়েছে, তারা দেশটিতে থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ইইউ বিধিমালা আমাদেরকে ঐসব বিপজ্জনক বিদেশী অপরাধীদের নিয়ে চলতে বাধ্য করেছে, যারা আমাদের মূল্যবোধের অপব্যবহার করেছে এবং জীবন যাত্রাকে রাস্তাঘাটে হুমিকর মুখে ফেলেছে। সুদৃঢ় ও সুন্দর সীমান্ত নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য হবে অধিকতর নিরাপদ, যেখানে জাতীয়তা নির্বিশেষে বিদেশী অপরাধীরা একই ধরনের অপরাধ দমন সংশ্লিষ্ট আইনের বিষয়বস্তু হবে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান ইইউ- এর বিধিমালার মানে হচ্ছে, ব্রিটেন শুধুমাত্র ঐসব অপরাধীদের প্রবেশ প্রতিরোধ করতে পারবে যারা গুরুতর ও বর্তমানে হুমকি সৃষ্টি করে। কিন্তু ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই আইন কঠোর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তবে নতুন বিধিমালা অনেকটাই নির্ভর করবে ইউরোপীয় ক্রিমিনাল ডাটাবেজসমূহে প্রবেশের ওপর। আর এব্যাপারে এখনো কোন চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। এছাড়া এসব ক্ষমতা ৪০ লাখ লোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যারা ইইউ সেটেলমেন্ট স্কীমের অধীনে নিবন্ধিত হয়েছে।
এসব পদক্ষেপ হোম অফিসকে যুক্তরাজ্যে রাফ স্লিপকারী লোকজনকে বহিষ্কারের সুযোগ করে দেবে এবং যারা সহায়তা প্রত্যাখ্যান করবে কিংবা ব্যাপক ভিক্ষাবৃত্তির মতো অপরাধ সংঘটন করবে, তারাও এই পদক্ষেপের আওতায় পড়বে।
যুক্তরাজ্যে রাফ স্লিপার অর্থাৎ বাজেভাবে রাত্রিযাপনকারীদের এক চতুর্থাংশই বিদেশী নাগরিক বলে মনে করা হয়। লন্ডনে এদের সংখ্যা আরো বেশী।
দাতব্য সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের আশংকা, নতুন পরিকল্পনা লোকজনকে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। তবে বলা হচ্ছে, এসব ক্ষমতা অত্যন্ত ঢিলেঢালাভাবে এবং সমাজবিরোধী আচরণ কিংবা নিম্নমানের অপরাধ সংঘটনকারী গৃহহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শেষ পন্থা হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই ব্যবস্থা বহিষ্কারের স্বাভাবিক শর্তাবলী অনুসরণ না-ও করতে পারে। এই পদক্ষেপ লন্ডনের পার্ক লেনের মতো দেশব্যাপী স্থাপিত টেন্ট সিটিসমূহ অর্থাৎ তাবু নগরীগুলো উচ্ছেদের সুযোগ করে দেবে।