ব্রিটিশ আদালতের রায়:
অভিবাসীদের বহিষ্কার সংক্রান্ত হোম অফিসের নীতি বেআইনি
একটি তাৎপর্যপূর্ণ রুলিংয়ে যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত বলেছে, যুক্তরাজ্য থেকে লোকজনকে বহিষ্কারে নীতিমালা ঝুঁকি নিয়েছে, এমনকি যাদের দেশটিতে থাকার অধিকার ছিলো তাদের ক্ষেত্রেও। নীতিমালা ৪০ হাজার বহিষ্কার বা অপসারণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। যেসব প্রচারাভিযানকারী এটাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, হোম অফিস আইনটিকে কাট ছাঁট করে মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
হোম অফিসের বিরুদ্ধে প্রদত্ত এই সর্বসম্মত রায়টি এনেছেন লর্ড চীফ জাস্টিস লর্ড বার্নেট এবং ২ জন সিনিয়র জজ। তবে এটা স্পষ্ট নয়, মন্ত্রীবর্গ এর বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালাবেন কি-না। তবে হোম অফিসের মুখপাত্র বলেছেন, তারা একটি ব্যর্থ হয়ে যাওয়া অভিবাসন পদ্ধতির সংস্কার করতে যাচ্ছেন।
বাতিল ঘোষিত বিতর্কিত নীতিটি ২০১৫ সালে চালু হয়। বহিষ্কার বন্ধে শেষ মুহূর্তের আবেদন প্রতিরোধে, অনেক ক্ষেত্রে বিমানের সিঁড়ি থেকে বহিষ্কার বন্ধ ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এটা চালু করা হয়। ১৮ মাসের আইনি লড়াই শেষে এটা স্থগিত করা হয়েছে। একটি অনেক ধীর ও জটিল পদ্ধতিতে বহিষ্কারের কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে, যাতে আপীলের জন্য অধিকতর সময় পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৫ সালের নীতি বা আইনের অধীনে কর্মকর্তারা ব্যর্থ আবেদনকারীদের বলেন, তারা আশ্রয়প্রার্থী, অর্থনৈতিক অভিবাসী, কিংবা অন্য দাবিকারী লোকজন যা-ই হোন না কেন তাদের চূড়ান্ত আবেদনের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় রয়েছে।
চ্যারিটি মেডিকেল জাস্টিস বলেন, বিদ্যমান রুলসমূহের অর্থ হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে এর প্রকৃত কেস সম্বলিত লোকজন একজন বিচারকের নিকট যথা সময়ে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারবে না।
আদালতে দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলে, হোম অফিস উপর্যুপুরি লোকজনকে বহিষ্কার করেছে শুধুমাত্র আবার তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল উপর্যুপুরি অভিযোগ করেন যে, ‘অ্যাক্টিভিস্ট ল’ইয়ার’ অর্থ্যাৎ কর্মী আইনজীবী’রা অভিবাসন বহিষ্কারকে ধীরগতি করে ফেলেছেন।
মেডিকেল জাস্টিস-এর জনৈক মুখপাত্র বলেন, বিদ্যমান অভিবাসন নীতি আমাদের অনেক অসুস্থ মক্কেলের সাথে অন্যায় আচরণ করেছে। সেটা ছিল বহিষ্কারের একটি শর্টকার্ট ব্যবস্থা। বাতিল হওয়ায় সবাই পুনরায় সমানভাবে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ পাবে।