তৃতীয় প্রান্তিকে এইচএসবিসির মুনাফা কমেছে ৪৬ শতাংশ
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এইচএসবিসির কর-পরবর্তী মুনাফা বছরওয়ারি ৪৬ শতাংশ কমেছে। নভেল করোনাভাইরাস মহামারী এবং চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধে যে ব্যাংকিং জায়ান্টটির আয় কমেছে, মঙ্গলবার প্রকাশিত উপাত্তে তা ফুটে উঠেছে। মহামারীর কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শ্লথগতি ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা খাতে বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় দফায় নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ যখন শীতের মৌসুমে প্রবেশ করছে, তখন আশাবাদের জায়গা খুবই সীমিত। তার ওপরে এইচএসবিসির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভূরাজনৈতিক বিরোধ। কারণ চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসার প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছিল এইচএসবিসি।
এশিয়ামুখী ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি তার বৈশ্বিক কার্যক্রম ঢেলে সাজাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ২০২২ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে এইচএসবিসি। গত জুন থেকে পুনর্গঠনমূলক এ তত্পরতা চালু করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হিমশিম খাওয়া ব্যাংকটি সেখানে তাদের ঢেলে সাজানোর কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিটেইল ব্যবসা একেবারে তুলে নেয়ার কথা বলছেন বিশ্লেষক ও কিছু বিনিয়োগকারী। চলতি বছরের শুরুতে এইচএসবিসি জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের ব্র্যাঞ্চ নেটওয়ার্ক কমিয়ে আনবে।
বিবৃতিতে এইচএসবিসি জানায়, তৃতীয় প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২০০ কোটি ডলার। এছাড়া মোট আয় ১১ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৯০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ খবরের জেরে হংকং শেয়ারবাজারে এইচএসবিসির শেয়ারদর বেড়েছে ৫ শতাংশ।
আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশের সময় ব্যাংকটির শীর্ষ নির্বাহী নোয়েল কুইন জানান, মহামারী শুরুর প্রাক্কালে গত বছরের শেষের দিকে তাদের কুঋণের পরিমাণ যেখানে ছিল ৮৭০ কোটি ডলার, সেখানে সেপ্টেম্বরে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার।