২ বছরে ইংল্যান্ডের গ্রামীণ এলাকায় গৃহহীনদের সংখ্যা দ্বিগুণ
গত ২ বছরে ইংল্যান্ডের গ্রামীণ এলাকায় গৃহহীনদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ইংল্যান্ডের স্থানীয় পল্লী এলাকায় শ্রেণিকৃত গৃহস্থালীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৯৭৫, যা ২০১৭-১৮ ইং থেকে ১১৫ শতাংশ বৃদ্ধি। কাউন্ট্রিসাইড চ্যারিটি সিপিআরই রুরাল সার্ভিসেজ নেটওয়ার্ক এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সিপিআরই-এর প্রধান নির্বাহী ক্রিসপিন ট্রুম্যান বলেন, দুঃখজনকভাবে গ্রামীন গৃহহীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পরিকল্পনা পদ্ধতিতে অব্যাহত অব্যবস্থাপনা এই পরিস্থিতিকে অধিকতর শোচনীয় করছে। সংস্থাটির মতে, বর্তমান সোশ্যাল হাউজিং তৈরীর হারে গ্রামীন হাউজিংয়ের অপেক্ষমান তালিকা শেষ করতে দেড়শ’ বছরের বেশী লেগে যাবে। রুরাল সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের মতে, অধিকতর স্বল্পব্যয় সাপেক্ষ হাউজিং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। প্রতি ১০টি নতুন স্বল্পব্যয় সাপেক্ষ হাউজিং ১.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের দ্বারা চাঙ্গা হবে, এতে ২৬টি চাকুরী এবং ২৫০০০০ পাউন্ড রাজস্ব নিয়ে আসবে সরকারের জন্য।
গার্ডিয়ান টুডে’র প্রধান নির্বাহী বিগস বলেন, স্বল্পব্যয়ের গ্রামীণ হাউজিং বিধি অপরিহারযোগ্য এবং টেকসই গ্রামীণ কমিউনিটিগুলোর হৃদয়ে এর অবস্থান। কাউন্সিলসমূহ কর্তৃক প্রদত্ত হোমলেসনেস রিলিফপ্রাপ্ত গৃহস্থালীর সংখ্যা বেড়েছে, উত্তর-পূর্ব ও উত্তর পশ্চিম ইংল্যান্ডে এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। তবে অন্যান্য সকল এলাকায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসেক্সের জনৈক মহিলা বলেন, গৃহহীন হওয়ার পর তিনি একটি হর্স বক্সে একমাস থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। সারে’র জনৈক মহিলা জানান, তাকে বলা হয়েছিলো একটি স্বল্পব্যয়ের সম্পত্তি পেতে তাকে ও তার তিন সন্তানকে ৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
গ্রামীন এলাকায় গৃহহীনতা শহর ও নগরীর তুলনায় অনেক বেশী। রুরাল কাউন্সিলগুলোর আশংকা, গ্রামীন এলাকায় গৃহ বা আবাসনের ঘাটতি শীঘ্রই আরো খারাপ হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহ শতকরা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত স্বল্পব্যয়ের গৃহনির্মাণ হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে। অথচ ১০টির পরিবর্তে ৪০ কিংবা ৫০টির বেশী গৃহ নির্মাণ আবশ্যক। সরকারের পরিকল্পনা পদ্ধতিতে প্রস্তাবিত পরিবর্তন ফলে এটা হতে পারে। সিপিআরই-এর প্রধান নির্বাহী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকদের প্রাইভেট সেক্টরে উচ্চ ভাড়ার জন্য গ্রামীন এলাকায় থাকা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।