ইউরোপজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ফের লকডাউন শুরু

ইউরোপজুড়ে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার ফের বেড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে বিভিন্ন দেশে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রাঁ। কমপক্ষে নভেম্বরের শেষ নাগাদ তা স্থায়ী হবে। এ ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনে জনগণ শুধু চিকিৎসার ও অত্যাবশ্যকীয় কারণ ছাড়া বাইরে যেতে পারবে না। তিনি বলেছেন, করোনার প্রথম ঢেউ থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আরও বেশি পড়বে বলে কোন সন্দেহ নেই।

জার্মানিও লকডাউন দিতে যাচ্ছে। তবে তা ফ্রান্সের মতো কঠোর হবে না। সেখানে রেস্তোরাঁ, জিম এবং থিয়েটার বন্ধ থাকবে বলে বুধবার জানিয়েছেন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেল মার্কেল। দেশটিতে আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সীমিত আকারের নতুন এই লকডাউন।
চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জানিয়েছেন, জার্মানিতে নভেম্বরে লকডাউন হবে। তবে এই লকডাউনে স্কুল ও দোকান উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ দুটি পরিবার বা সর্বোচ্চ ১০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বার, ক্যাটারিং এবং অবসর সুবিধা বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকবে দেশটির পর্যটন খাতও।
শুধু ফ্রান্স বা জার্মানি নয়, পুরো ইউরোপেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ বৃহষ্পতিবার ব্রিটেনে নতুন করে ২৮০ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩,০৬৫জন।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সেখানে প্রায় এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষকরা বলেছেন, সংক্রমণের এই হার নিয়ন্ত্রণে আনতে আঞ্চলিক নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। বেশ কিছু দেশে জারি রয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। এর আওতায় রয়েছেন ফ্রান্সের ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। নতুন নতুন সংক্রমণের খবরে ইউরোপের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। বুধবার সেখানকার শেয়ার বাজারের মারাত্মক পতন হয়েছে। ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, আমরা দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের একেবারে মধ্যে আছি। মনে হচ্ছে এ বছরের বড়দিন উদযাপন হবে ভিন্নভাবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button