১২ লাখ নতুন অভিবাসী নিচ্ছে কানাডা
কানাডা সরকার আগামী তিন বছরে আরো ১২ লাখ নতুন অভিবাসী নিচ্ছে। তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসেরও অনুমতি দেবে দেশটির সরকার। এটি প্রতিবছর দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমবাজারের ঘাটতি পূরণ এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।
গতকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালে ৪ লাখ ১০০০, ২০২২ সালে ৪ লাখ ১১ হাজার এবং ২০২৩ সালে আরও ৪ লাখ ২১ হাজার নতুন স্থায়ী বাসিন্দা গ্রহণ করবে।
মেন্ডেসিনো বলেন, বৈশ্বিক মহামারির আগে অভিবাসনের মাধ্যমে অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ায় আমাদের সরকারের লক্ষ্যটি ছিল উচ্চাভিলাষী। কিন্তু এখন সেটি অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে। কানাডার আরও বেশি কর্মী দরকার। আর তা পূরণের উপায় হচ্ছে অভিবাসন।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগারির গবেষক রবার্ট ফ্যালকনার এক টুইটে জানিয়েছেন, কানাডা সরকার যদি তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায়, তবে আগামী তিন বছরে দেশটির অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণ হবে ১৯১১ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ।
জানা গেছে, ২০২১ সালে ২ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ জন সম্পূর্ণ নতুন অভিবাসী গ্রহণ করবে কানাডা। ইতোমধ্যেই পরিবারের সদস্য রয়েছে এমন ব্যক্তি যেতে পারবেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০। শরণার্থী ও অন্য সুরক্ষিত ব্যক্তি ৫৯ হাজার ৫০০ জন এবং আরও সাড়ে পাঁচ হাজার অভিবাসীকে মানবিক কারণে গ্রহণ করা হবে।
শরণার্থী গ্রহণ এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়ার সুযোগপ্রত্যাশীদের আশ্রয়ের ক্ষেত্রে কানাডা বহু বছর ধরেই রোল মডেল হয়ে রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে গত মার্চে বেশিরভাগ অভিবাসীর জন্যই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় দেশটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত ১ লাখ ২৮ হাজার ৪২৫ জন নতুন অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে কানাডা, যা এ বছরের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের চেয়েও কম।