প্রতিবছর মাদকের পেছনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট
বাংলাদেশে ৭৫ লাখ মাদকাসক্ত, ১০ বছরে খুন ২০০ মা-বাবা
বাংলাদেশে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। প্রতিবছর মাদকের পেছনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। আর বিগত ১০ বছরে মাদকাসক্তির কারণে ২০০ জন মা-বাবা খুন হয়েছেন। বর্তমানে পুরুষদের সঙ্গে শিশু ও নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ইয়াবা ছেলেদের মতো মেয়েরাও অবলীলায় গ্রহণ করছে বলে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর এক প্রতিবেদনে জানান হয়েছে।
রবিবার (১ নভেম্বর) সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে ডোপ টেস্ট- এই মুহূর্তে করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানানো হয়। শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এটির আয়োজন করে। একাত্তর টিভির বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান ও পার্লামেন্টনিউজবিডি.কমের সম্পাদক সাকিলা পারভীন মূল প্রবন্ধটি পাঠ করেন। এটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র।
প্রবন্ধে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদকের ভয়াবহতার চিত্রটা বেশ পরিস্কার। গণমাধ্যমগুলোই বলছে, দু-একটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া, আজ দেশে যত অপরাধ হচ্ছে প্রতিটির গোড়া মাদকের ঘরে। এই যে গ্যাঙ নামের অপসংস্কৃতি- এই গ্যাঙ তৈরির পেছনেও রয়েছে মাদক। মাদকের কারণে উচ্ছনে যাচ্ছে বহু মেধাবী শিক্ষার্থী। ভাঙছে সমাজ, সংসার ও পরিবার। মাদকের টাকা জোগাড় করতে মা কিংবা বাবার গলায় ছুরি ধরছে সন্তান। খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাবে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। এর তিনভাগের দুই ভাগই তরুণ। একসময় ফেনিসিডিল, হিরোইনের মতো মাদক বেশি থাকলেও, এখন তার জায়গা দখল করেছে ইয়াবা। কারণ এটি সহজেই বহন করা যায়।
প্রতিবেদনে জানান হয়েছে, দেশে ২৪ ধরনের মাদক ব্যবহৃত বা সেবন করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ ধরনের মাদক উদ্ধার হয়েছে। দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এসব। মাদকের প্রবেশপথ হিসেবে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন ৩২টি জেলাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উলেøখ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)।