ব্রিটেনে ১০ হাজার এনএইচএস স্টাফ করোনা সংক্রমণের কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর ১০ হাজার এনএইচএস স্টাফ অসুস্থ কিংবা সেলফ আইসোলেটেড হয়ে পড়েছেন। ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় ৪০ শতাংশেরও বেশি – কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ শতাংশ এনএইচএস স্টাফ কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট কারণে হাসপাতালে অনুপস্থিত, যার ফলে ক্রমবর্ধমান ভাইরাস রোগীদের সামাল দিতে হাসপাতালগুলোকে চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
সমগ্র ইংল্যান্ডব্যাপী ৭৬২০০ জনেরও বেশী এনএইচএস স্টাফ গত শুক্রবার কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। যা মোট জনবলের ৬ শতাংশেরও বেশী। এর মধ্যে ২৫২৯৩ জন নার্সিং স্টাফ এবং ৩৫৭৫ চিকিৎসক। শুক্রবারের মোট ২৭১৩৬ এক তৃতীয়াংশেরও বেশী কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন, কারণ, তারা হয় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন কিংবা সেলফ আইসোলেটে যেতে বাধ্য হন।
কোভিডের কারণে মোট ৯১৩৭ জন নার্স কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন, এর সাথে কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো ৭২৭৩ জন অন্যান্য ক্লিনিক্যাল স্টাফ অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ২ হাজার চিকিৎসক ও ১৫৮০ জন সহকর্মী স্বাস্হ্য পেশাজীবি যেমন ফিজিওথেরাপিস্ট ও প্যারামোডিক্স কোভিড-১৯ সংক্রমিত।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় কোভিডের কারণে ৭৪৫৯ জনসহ প্রায় ১৭০০০ জন স্টাফ অনুপস্থিত ছিলেন, যা মোট সংখ্যার ৪৪ শতাংশ। এটা ল্যাংকাশায়ার সাউথ কামব্রিয়া,গ্রেটার মানচেষ্টার, নর্থইস্ট এবং ইয়র্কশায়ারে ৪০ শতাংশেরও বেশী। নটিংহামে প্রায় ৪৮ শতাংশ স্টাফ অনুপস্থিত ছিলেন কোভিডের কারণে। অর্থাৎ ১৩০০ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
এনএইচএস-এ বর্তমানে ১ লাখ লোক কর্মরত, মহামারির আগে ৪০০০০ জন নার্স ছিলো এতে অন্তর্ভুক্ত। অনেক হাসপাতালে যথেষ্ট বেড রয়েছে কিন্তু রোগীকে দেখাশুনা করার কোন জনবল নেই।
এনএইচএস ইংল্যান্ড -এর জনৈক মুখপাত্র বলেন, স্টাফদের অনুপস্থিতি এপ্রিল ও জুলাইয়ের তুলনায় এখন কমে এসেছে। তবে যখন কমিউনিটি সংক্রমণ তীব্র, তখন এনএইচএস ও স্টাফদের ওপর এর প্রভাব পড়বেই। এ অবস্থায় সকলের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন তাদের হাতধোয়া, মুখমন্ডল ঢেকে রাখা, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
যেসব এলাকায় কমিউনিটি সংক্রমণ অত্যন্ত বেশী, সে সব এলাকায় লক্ষণযুক্ত ফ্রন্টলাইন এনএইচএস স্টাফদের টেস্টিংয়ের যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, যখন স্থানীয় এলাকাগুলো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।