ট্রাম্পের কেন এমন অবস্থা হলো
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনকার যে অবস্থা, তাতে মোটামুটিভাবে বলা চলে প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন জো বাইডেনই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে বরাবরই পৃথিবীজোড়া আগ্রহ থাকে। এ বারেও আছে। এ বারে সম্ভবত অন্য বারের চেয়ে একটু বেশিই। কেননা ট্রাম্প ইদানীংকালের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে একটু বেশিই ‘বর্ণময়’ চরিত্র। ট্রাম্প তার বছরচারেকের আমলে যা যা করেছেন তা নিয়ে নানা মহলে নানা রকম আপত্তি কাজ করেছে। প্রশংসাও জুটেছে। তবে তা নগণ্যই।
ট্রাম্প ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে যে দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন সেদিনই ওয়াশিংটন ডিসিতে তার যৌন কেলেঙ্কারি ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মহিলারা৷ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত ২৬ জন মহিলা যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন সেদিন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরবে৷ ২০১৭ সালের মে মাসে রিয়াদ সামিটে অংশ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোয়াপারেশন (ওআইসি) এর প্রতিনিধিরা৷ তুরস্ক এবং ইরান সেই আলোচনা বয়কট করেছিল৷
ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ যেমন, ট্রাম্প-কন্যা ইভান্কা প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন৷
ট্রাম্প আমেরিকার আশ্রয়প্রার্থীদের উপর কঠোর নীতি আরোপ করেন। এবং কিছু অঞ্চল থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেয়ার নিষ্ঠুর সিদ্ধান্তও নেন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ সব চেয়ে আলোচিত ছিল তার মধ্যে অন্যতম রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক৷ গত চার বছরে রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন দেশের সম্পর্ক মোটের ওপর ভালো ছিল না।
ওবামা সরকার ইরানের সঙ্গে যে পরমাণু চুক্তি করেছিল, তা থেকে সরে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ ইরানের ওপরে আরও নানা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছিল৷ এ সবই নেতিবাচক। তবে কিছু ইতিবাচক ব্যাপারও ছিল।
যেমন, ক্ষমতায় থাকা কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পই প্রথম উত্তর কোরিয়ায় যান৷ সে দেশের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল এই সফর৷ দীর্ঘ চেষ্টার পরে ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান ইস্যুতে তালিবানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে সক্ষম হয়েছিল৷
ইসরাইলের পরিস্থিতিও অনেকটা ভালো হয়। উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে অনেকটা ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কারণেই৷