প্রাইভেট ফার্মের সাথে ৪ বিলিয়ন পাউন্ডের সরকারী চুক্তির বিবরণ প্রকাশে ব্যর্থ ব্রিটিশ সরকার
ব্রিটিশ সরকার প্রাইভেট কোম্পানীগুলোকে প্রদত্ত ৪ বিলিয়ন পাউন্ডের কভিড সংক্রান্ত চুক্তির কোন তথ্য প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে। এটা যুক্তরাজ্যের আইনের অব্যাহত লংঘন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ফাঁকটুকু সামনে নিয়ে এসেছেন মিশ্রদলীয় এমপি’দের গ্রুপ এবং ‘গুড ল’ প্রোজেক্ট। তারা ইতোমধ্যে স্বাস্থমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
তারা মন্ত্রীবর্গের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করেন যে, তারা আইনী কর্তব্যসমূহ ও প্রতিষ্ঠিত নীতিমালা পালনে একটি গুরুতর ও ব্যাপক ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছেন। গ্রুপটি এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, মহামারি শুরুর পর থেকে পিপিই, ওষুধ, ভাইরাস টেস্টি ও ট্রেসিং বাবত যে বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়েছে, এ ব্যাপারে একজন নিরপেক্ষ বিচারকের নেতৃত্বে তদন্ত না হলে স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে ফাঁক থেকে যাবে।
‘গুড ল’ প্রোজেক্ট- এর প্রতিষ্ঠাতা জলিয়ন মম বলেন, হতবুদ্ধিকর প্রমান বিদ্যমান যে, সরকারের প্রধান ব্যক্তিবর্গের সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তির মাধ্যমে বিস্ময়কর পরিমান সম্পদ বানিয়েছে। ‘গুড ল’ গত ২৯ এপ্রিল ‘আয়ান্দা ক্যাপিটাল’ নামক একটি কোম্পানীর সাথে সরকারের ২৫২ মিলিয়ন পাউন্ডের পিপিই চুক্তিসহ অনেক চুক্তির কথা প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, ব্রিটিশ সরকারের এক সাবেক উপদেষ্টার মাধ্যমে আয়ান্দা এই চুক্তি বাগিয়ে নেয়। আয়ান্দা বিশেষভাবে মুদ্রা ও গভীর সমুদ্র সম্পদ বিষয়ে ব্যবসার সাথে জড়িত।
লেবার পার্টির শ্যাডো কেবিনেট অফিস মিনিস্টার র্যাচেল রীভ্স বলেন, সরকারী ব্যয় এবং জনগনের কাছে সরকারের বলা ব্যয়ের অংকের মধ্যে বিশাল তফাৎ বিদ্যমান। চুক্তির একটি সমগ্র ক্যাটালগ যা হয় অস্পষ্ট, অপচয়পূর্ন, হিসাববিহীন কিংবা রক্ষনশীল বন্ধুবান্ধব ও দাতাদের সাথে সম্পর্কিত। গাস টাগেনড্হাট- এর প্রতিষ্ঠাতা টাসেল বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ কভিড সংক্রান্ত ১২.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তিসমূহের কথা প্রকাশ করেছে কিন্তু আমরা জানি, অদ্য তারিখ পর্যন্ত ব্যয়ের এটা পূর্নাঙ্গ চিত্র নয়। এটা হতে পারে যে, প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে অপ্রকাশিত তথ্য অনেক বেশী।