এনএইচএস চিকিৎসার জন্য ১ বছরের বেশী অপেক্ষা করতে হচ্ছে

ব্রিটেনে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার এনএইচএস রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা লাভের জন্য গত ১ বছরেরও বেশী সময় যাবৎ অপেক্ষা করছেন। গত সেপ্টেম্বরে ২০০৮ সালের পর এটা সর্বাধিক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে। এনএইচএস এর সর্বশেষ ডাটা অনুসারে, ১৩৯৫৪৫ জন রোগী তাদের চিকিৎসা শুরুর জন্য ৫২ সপ্তাহেরও বেশী সময় যাবৎ অপেক্ষা করছেন।

দেখা গেছে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ১৩০৫। গোটা ইংল্যান্ডে ১৭ লাখ ২০ হাজার লোক চিকিৎসার জন্য ১৮ সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। এ সংখ্যা আগষ্টে ছিলো ১৯ লাখ। কিন্ত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তা বাড়তে থাকে, যখন ৬৭২১১২ জন রোগীকে অপেক্ষা করতে হয় ১৮ সপ্তাহেরও বেশী।
এএইচএস-এর একটি আইনানুগ টার্গেট হচ্ছে, ১৮ সপ্তাহের মধ্যে রোগীর চিকিৎসা শুরু করা। কিন্তু সেই টার্গেট ২০১৬ সাল থেকে আজো অর্জিত হয়নি। করোনাভাইরাস মহামারির দরুন অধিকাংশ হাসপাতাল বাধ্য হয়েছে সাধারন চিকিৎসা কার্যক্রম স্থগিত করতে, শুধু অত্যাবশ্যকীয় সেবা ছাড়া। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় এটা ঘটে। এর ফলে অপেক্ষমান রোগীর জট সৃষ্টি হয় এবং ফলশ্রুতিতে কয়েক মিলিয়ন রোগী এখনো রেফার্ড হওয়ার অপেক্ষায়। হাসপাতালগুলোতে রুটিন চিকিৎসার জন্য সেপ্টেম্বরে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ হ্রাস পায়। ঐ মাসে ২০৯৫৬২ জন রোগী ভর্তি হয়, যা ২০১৪৯ সালের সেপ্টেম্বরে ছিলো ২৮৮২৩০ জন।
এইনএইচএস-এর ডাটা অনুসারে, ইংল্যান্ডে ৪ লাখেরও বেশী রোগীকে গত সেপ্টেম্বরে একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্টের জন্য ৬ সপ্তাহেরও বেশী অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। মোট ৪২০৪৪৪৫ জন রোগী ১৫টি স্ট্যান্ডার্ড টেস্টের একটির জন্য অপেক্ষাা করছিলেন- যার মধ্যে এমআরআই স্ক্যান, নন-অবসটেট্রিক আল্ট্রা সাউন্ড কিংবা গ্যাস্ট্রোসকপি রয়েছে।
এনএইচএস ইংল্যান্ড এর জনৈক মুখপাত্র বলেন, কভিডে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও ক্যান্সার সেবা মহামারি-পূর্ব সময়ের মতোই দেয়া হচ্ছে। জিপি’দের সাথে অ্যাপয়ন্টমেন্ট বা সাক্ষাতকার গত বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়। হাসপাতালসমূহ রাত্রিব্যাপী ইলেক্টিভ অপারেশনসমূহ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি সাধন করে। তিনি আরো বলেন, তবে এটা স্পষ্ট যে, যেখানে উচ্চ পর্যায়ের কভিড রয়েছে, সেখানে আমরা রুটিন অ-জরুরী সেবার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব দেখছি, যাতে জনগণ ভাইরাস বিস্তার রোধে অব্যাহত সহায়তা প্রদানের তাদের ভূমিকা রাখতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button