আগামী বছর ২০ লাখে পৌঁছার সম্ভাবনা
ইংল্যান্ডে কাউন্সিল হোমের জন্য অপেক্ষমাণদের সংখ্যা দ্বিগুণ
ইংল্যান্ডে কাউন্সিল হোমের জন্য অপেক্ষাকারীদের তালিকা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আগামী বছর ২০ লাখে পৌঁছার সম্ভাবনা। কভিড-১৯ মহামারির কারনে ইতোমধ্যে লাখো লোক বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকির সম্মুখীন। দেখা গেছে, স্বল্প আয়ের লোকজন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ক্রয়ের জন্য তাদের সীমিত সঞ্চয় ব্যবহার ও খরচ কর্তন করছেন এবং টিকে থাকার জন্য ধারকর্জ করছেন।
নতুন এক বিশ্লেষণে এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারন করা হয়েছে যে, ইংল্যান্ডে কাউন্সিল বাড়ির জন্য অপেক্ষমানদের তালিকা ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি ছাড়িয়ে যাবে। অধিক সংখ্যক লোক তাদের বাড়িঘরে টিকে থাকতে অক্ষম হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
লোকাল গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এলজিএ) এবং সোশ্যাল হাউজিং গ্রুপসমূহ কর্তৃক পরিচালিত এক সমীক্ষায় এ সতর্কবানী উচ্চারন করা হয়েছে। তারা এই সংকট মোকাবেলায় হাউজিংয়ে একটি বড়ো ধরনের নির্মান কাজের আহ্বান জানিয়েছেন। অপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে ক্রমবর্ধমান হারে লোকজন বকেয়া ভাড়া দিতে সংকটে পড়ছেন, যার পরিমান এখন ৪ শ’ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছে।
জোসেফ রাউনট্রি ফাউন্ডেশন (জেআরএফ) অনুসারে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ২৫ লাখ গৃহস্থালী শীতকালে বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন কি-না, এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন এবং ৭ লাখ গৃহস্থালী ইতোমধ্যে বকেয়ায় নিপতিত। এতে দেখা যায়, সাড়ে ৩ লাখ গৃহস্থালীকে তাদের ল্যান্ডলর্ডরা নোটিশের মাধ্যমে বা মৌখিক ভাবে উচ্ছেদের কথা বলেছেন। এভাবে হাজারো পরিবার এক অনিশ্চিত শীতকালের পথে ধাবিত হচ্ছেন।
ছায়া হাউজিং মন্ত্রী থ্যানগাম ডেববোনেয়ার বলেন, সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভাড়াটেরা এখনি সংকটে নিপতিত। ৭ লাখ গৃহস্থালীর ভাড়া বকেয়া হয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ হাউজিং কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের জনৈক মুখপাত্র বলেন, স্বল্প ব্যয়ের হাউজিংয়ের প্রতি একক সর্ববৃহৎ অর্থায়নের মাধ্যমে আমরা এক দশকে স্বল্প ব্যয়ের হাউজিং সরবরাহ বৃদ্ধি করেছি। ছয় মাসের উচ্ছেদ নিষিদ্ধকরণসহ মহামারির সময়ে ভাড়াটেদের সুরক্ষার জন্য আমরা নজীরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। যে সব লোক ভাড়া দিতে অসুবিধার সম্মুখীন তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।