ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চালিয়ে যাবে ব্রিটেন-কানাডা
ব্রেক্সিটের রূপান্তরকাল শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির শর্ত অনুযায়ীই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাবে কানাডা। শনিবার এ বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিশদ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা হবে বলে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিদ্যমান কানাডা-ইইউ চুক্তি অনুযায়ী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেন। এছাড়া তারা আগামী বছর একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর বিষয়েও একমত হন।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, এ চুক্তির মাধ্যমে হাজার হাজার কর্মসংস্থান অনিশ্চয়তার কবল থেকে বাঁচল। এছাড়া এই সমঝোতার ফলে কানাডায় পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ডের শুল্ক বাধা এড়াতে সক্ষম হবে যুক্তরাজ্য।
উল্লেখ্য, ইইউ সদস্য হিসেবে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল ব্রিটেন, যা ব্রেক্সিটের রূপান্তরকালীনও বলবৎ রয়েছে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রূপান্তরকাল পেরিয়ে যাওয়ার পর এ চুক্তির কার্যকারিতা আর থাকবে না। ফলে নতুন করে কোনো চুক্তি না হলে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যে উভয় দেশকেই শুল্ক বাধার মুখোমুখি হতে হবে।
নতুন এই চুক্তি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক হয়ে দাঁড়াবে। ইইউ থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ববাণিজ্যে নিজেদের স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্য। কানাডার সঙ্গে নতুন চুক্তিকে সেই প্রচেষ্টায় বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০১৯ সালে কানাডা ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আকার ছিল প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি পাউন্ড (২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার)। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর কানাডার সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার হলো যুক্তরাজ্য। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটিতে মোট ১ হাজার ৪০০ কোটি কানাডীয় ডলারের পণ্য রফতানি করেছে কানাডা। বিপরীতে আমদানি করেছে ৬৯০ কোটি কানাডীয় ডলারের পণ্য।