ব্রিটেনে সেপ্টেম্বরে বাড়িঘরের মূল্যবৃদ্ধিতে রেকর্ড
সব চেয়ে বেশী ৯.১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে হ্যাকনীতে, ইজলিংটনে ৮.৫ শতাংশ, ইলিংয়ে ৭.২ শতাংশ এবং ওয়ালথাম ফরেষ্টে ৬.৯ শতাংশ
গত সেপ্টেম্বরে লন্ডনে বাড়িঘরের মূল্য রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এসময় রাজধানীতে বার্ষিক ৪.১ শতাংশ হারে একটি বাড়ির গড় মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়, যা রেকর্ড পরিমাণ ৪৯৬৪৮৬ পাউন্ডে উন্নীত হয়। ব্রিটেনের ‘ল্যান্ড রেজিষ্ট্রি’ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাড়ির মাসিক মূল্য বৃদ্ধি ছিলো ০.৮ শতাংশ। গত মে মাসে প্রথম লক ডাউন শেষ হওয়ার পর মার্কেট পুনরায় উন্মুক্ত হলে বাড়ির যে মূল্য ছিলো, এখন তার চেয়ে ৩০ হাজার পাউন্ড বেশী। সব চেয়ে বেশী মূল্যবৃদ্ধি ঘটে হ্যাকনীতে, সেখানে ৯.১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর পরের স্থানে রয়েছে ইজলিংটন, সেখানে ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ইলিংয়ে বৃদ্ধি পায় ৭.২ শতাংশ এবং ওয়ালথাম ফরেস্ট-এ বৃদ্ধি পায় ৬.৯ শতাংশ।
লন্ডনভিত্তিক এজেন্টস চেস্টারটনস্-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাই গিত্তিন বলেন, গত সেপ্টেম্বরে চেস্টারটনস অনুসন্ধান ছিলো গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশী।
তিনি আরো বলেন, বার্নেস, পুটনি এবং কিউ-এর মতো দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের এলাকাগুলোতে পরিবারিক বাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। মার্চের শেষে স্টাম্প ডিউটি মওকুফের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বাড়িঘর ক্রয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী মার্চ পর্যন্ত ক্রেতারা বাড়িঘর ক্রয়ে ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত স্টাম্প ডিউটি হলিডে’র সুযোগ পাবেন।
বায়িং এজেন্টস ‘গ্যারিংটন প্রোপার্টি ফাইন্ডারস’ এর প্রধান নির্বাহী জোনাথন হুপার বলেন, ব্রিটেনের কভিড সংকটের অপ্রত্যাশিত পরিণতির মধ্যে বাড়ির মূল্যে উল্লম্ফন অত্যন্ত বিস্ময়কর। ল্যান্ড রেজিষ্ট্রি’র উপাত্ত এই মর্মে নিশ্চিত করেছে যে, বাড়িঘরের মুল্যবৃদ্ধি প্রকৃত এবং টেকসই। গত সেপ্টেম্বরের শেষভাগ পর্যন্ত ১২ মাসে বাড়িঘরের মূল্য কভিডপূর্ব বছরের তুলনায় ৪ গুণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর প্রথম দেশব্যাপী লকডাউনের গভীরতার সময়ের চেয়ে এখন অবিশ্বাস্য ৮গুণ দ্রুততার সাথে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে।
তিনি আরো বলেন, এমনকি ব্রিটেনের আর্থিক সংকট বৃদ্ধির বিপর্যয়কর দিনগুলোর আগের সময়েও বাড়িঘরের মূল্যে এতো উল্লম্ফন লক্ষ্য করা যায়নি, দেখা যায়নি এতো দ্রুততা।