ফাইজারের ভ্যাকসিনকে আইনী দায়মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার
যুক্তরাজ্য সরকার বিশ্বখ্যাত ওষুধ কোম্পানী ফাইজারকে মামলা-মোকদ্দমা থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে একটি আইনগত দায়মুক্তি প্রদান করেছে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি আগামী সপ্তাহে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে পারে। এর ফলে ভ্যাকসিন থেকে সৃষ্ট যে কোন সমস্যার বিরুদ্ধে রোগীদের আইনী পদক্ষেপ থেকে কোম্পানী সুরক্ষা পাবে। এনএইচএস স্টাফরা ভ্যাকসিন দেবে, তাদের সাথে ওষুধ প্রস্তুকারকেরাও সুরক্ষা পাবে। ফাইজারের ভ্যাকসিন ১৬ বছরের উর্ধে যে কোন বয়সী লোক গ্রহণ করতে পারবেন। তবে গর্ভবতী মহিলাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে না, কারণ, এটা তাদের ও তাদের সন্তানদের ওপর কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, সে ব্যাপারে তথ্য উপাত্তের এখনো ঘাটতি রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ‘দ্য ফাইজার/বায়োএনটেক’ ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে ‘মেডিসিন এন্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরী এজেন্সী’ (এমএইচআরএ)। হিউম্যান মেডিসিন রেগুলেশনস-২০১২ এর অধীনে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে মহামারীর মতো একটি জরুরী অবস্থায় একটি লাইসেন্সবিহীন ওষুদের ট্রায়াল বা প্রয়োগ করা যাবে।
এমএইচআরএ’র প্রধান নির্বাহী জুন রেইনে গত বুধবার বলেন, ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কোন দিকই বাদ দেয়া হয়নি। প্রতিটি উপাত্তের অত্যন্ত কঠোর বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নের পর এমএইচআরএ এই সুপারিশ প্রদান করেছে, যাতে এটা কার্যকারিতা ও মনের ব্যাপারে আবশ্যকীয় আদর্শগত মান পূরণ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমরা পর্যালোচনা করেছি এবং সম্মত হয়েছি পরামর্শকৃত তথ্যাবলীর বিষয়ে, যাতে জনগন ও স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীরা অত্যন্ত স্পষ্ট থাকেন এবং এই মর্মে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী থাকেন যে, ভ্যাকসিনটি সঠিকভাবেই প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং তারা বুঝতে পারেন যে, এতে কী জড়িত রয়েছে।