ব্রেক্সিটের আগেই এসাইলাম প্রার্থীদের বহিষ্কার কর্মসূচী জোরদার
মানব পাচারের শিকারসহ বেশ কিছু সংখ্যক অরক্ষিত এসাইলাম প্রার্থীকে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ব্রেক্সিটের আগে বহিষ্কার কর্মসূচী জোরদার করেছেন। এ সপ্তাহে অষ্ট্রিয়া, পোলান্ড, স্পেন ও লিথুনিয়ায় সম্ভাব্য ফ্লাইটসহ তিনটি ফ্লাইটের ২টি জার্মানী ও ১টি ফ্রান্সে পরিচালনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব ফ্লাইটে এসাইলাম প্রার্থীদের বহন করা হবে। ক্যাম্পেইনারদের প্রবল বিরোধিতা সত্বেও বহিষ্কারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ক্যাম্পেইনাররা বলছেন, তাদের কাছে এই মর্মে প্রমাণ রয়েছে যে, পাচারের শিকারদের শনাক্তকরণের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের নীতি এড়াতে তাড়াহুড়ো করে কেসগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ইইউ-তে আসন্ন ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারী ‘গ্রুপস’ বলেছে যে, যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে হোম অফিসের সম্ভাব্য পাচারের শিকারদের বহিষ্কারে পরিকল্পিত অভিযান অবৈধ এবং হাইকোর্টের একটি সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের লংঘন।
চলতি সপ্তাহের ফ্লাইটসমূহে বহিষ্কারের জন্য নির্ধারিত ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করছেন এমন আইনজীবিরা বলেন, এসব লোকজনের মারাত্মক অরক্ষিত অবস্থা শনাক্তে যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ দু’টি প্রশ্ন করা হয়নি: ‘কেনো আপনি যুক্তরাজ্যে এসেছেন?’ এবং ‘অনুগ্রহপূর্বক যুক্তরাজ্যে আপনার ভ্রমনের বর্ণনা দিন’। গত মাসে এক অন্তর্বর্তীকালীন রুলিংয়ে হাইকোর্ট বলেন, এ ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে হোম অফিসের ব্যর্থতা বেআইনী এবং অবিচার ও ক্ষয়ক্ষতির মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
হোম অফিসের জনৈক মুখপাত্র বলেন, আমরা ভেঙ্গে পড়া এসাইলাম সিস্টেমকে জোড়া লাগাতে দৃঢ়চিত্ত থাকবো, যাতে এটা দৃঢ় ও সুষ্ঠু হয় এবং যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার যাদের নেই তাদের বহিষ্কারের জন্য ক্ষমা চাইতে না হয়। বহিষ্কারের জন্য যারাই নির্দিষ্ট হবেন, তাদেরকে একটি পরীক্ষা নিরীক্ষার সাক্ষাতকারের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এতে বহিষ্কারের আগে পাচারসংক্রান্ত হালনাগাদ প্রশ্নাবলী অন্তর্ভুক্ত থাকবে।