দৃশ্যমান পুরো পদ্মা সেতু
২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে
নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। স্বপ্ন নয়। এটা বাস্তব। পদ্মা সেতুতে বসানো হলো ৪১তম স্প্যান। এরমধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হলো ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরো সেতু। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সেতুর সর্বশেষ স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর কাজ শেষ হয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, আজ সকাল ৯টা থেকে সেতুতে সর্বশেষ স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কুয়াশা থাকায় কাজ শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে ৪১তম স্প্যানটি বাসনোর কাজ শেষ হয়।
৪০তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে মাঝ নদীতে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে (পিলারের ওপরের প্লাটফর্ম) ৪১তম স্প্যানটি বাসানো হয়। রাতেই স্প্যানটি ভাসমান ক্রেনে করে নির্ধারিত পিলারের কাছে নেওয়া হয়। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এরমধ্যে সেতুতে ১৮ শতাধিক রেলওয়ে ও ১২ শতাধিক রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে পদ্মা সেতু এমন আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।