ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাজ্য-ইইউ
ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইইউ। রোববার(১৩ ডিসেম্বর) এক ফোনালাপের পর উভয় পক্ষের শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন তারা এছাড়াও ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আরো লম্বা সময় ধরে আলোচনা করার জন্য তারা দায়বদ্ধ।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে বৃটেন ইইউ থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক নাটকীয়তার পর চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারি প্রথম চুক্তি সম্পাদিত হয়। পরবর্তী সময়ের জন্য দুই পক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নির্ধারণ করতে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই চুক্তি হোক বা না হোক আগামী ১লা জানুয়ারি দীর্ঘ ৪৫ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটবে। চুক্তি না হলে দুই পক্ষকেই একে অন্যের আরোপ করা শুল্ক দিতে হবে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।
দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যসহ বাকি সম্পর্ক স্থির করতে চুক্তি এখনো অধরা রয়ে গেছে। সময়ও প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত করতেই হবে এবং সেই অনুযায়ী নতুন বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া চুক্তি হলেও সীমান্তে ব্যাপক যানজট ও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।