ঋণগ্রহণের পরিমাণ ৩১.৬ বিলিয়ন পাউন্ড
নভেম্বরে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণ ছিলো সর্বোচ্চ
মহামারিকালীন সময়ে অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণ রেকর্ড পরিমাণে উন্নীত হয়েছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স জানিয়েছে, গত মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ ৩১.৬ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌছেঁ, যা রেকর্ড পরিমাণ।
১৯৯৩ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এটা যে কোন মাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ। আর্থিক বছর শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যয় ও রাজস্বের মধ্যেকার গ্যাপ বা শূন্যতা পূরণে ঋণের পরিমাণ ২৪০.৯ বিলিয়নে পৌছেঁ, যা এক বছর আগের চেয়ে ১৮৮.৬ বিলিয়ন পাউন্ড বেশী। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি (ওবিআর) এর হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থের পরিমাণ আর্থিক বছরের শেষে মার্চে ৩৭২.২ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছতে পারে।
ঋণগ্রহণ বৃদ্ধি জাতীয় ঋণকে তীব্র বৃদ্ধির দিকে নিয়ে গেছে, যা এখন ২.১ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক ঋণ এখন জিডিপি’র ৯৯.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। গত ষাটের দশকের প্রথম ভাগ থেকে এই লেভেল বা পর্যায় কখনো পরিলক্ষিত হয়নি।
সরকার বন্ড বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক বাজারসমূহ থেকে ঋণ গ্রহণ করে। এসব বন্ডের গ্রাহক হচ্ছেন মূলত: পেনশন ফান্ডস, ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডস্ এবং ইনস্যুরেন্স কোম্পানীগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রাইভেট সঞ্চয়কারীরাও কিছু বন্ড ক্রয় করেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর চীফ ইকোনোমিস্ট সারাহ হেউইন বলেন, শুধুমাত্র নভেম্বরে ঋণগ্রহণ ছিলো গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ছিলো প্রায় ৬ গুণ। এছাড়া ফারলো স্কীমের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে, এতে সরকারী ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে এপ্রিল থেকে ঋণগ্রহণ ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ২৪০ বিলিয়ন পাউন্ড এবং পুরো বছরে তা প্রায় ৪০০ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছে যাবার পথে। তৃতীয় কোয়ার্টার বা প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রথম হিসাবের চেয়ে কিছুটা বেশী, রেকর্ড পরিমাণ ১৬ শতাংশ। তবে এটা এখন পুরোনো খবর। রিটেইল ও আতিথেয়তা খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞাসমূহ এবং বন্দরগুলোর বহুমুখি গোলযোগ যুক্তরাজ্যকে ইতোমধ্যে একটি ডাবল-ডিপ মন্দার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।