নতুন জরুরী সহায়তা প্যাকেজের জন্য ঋষি সুনাকের ওপর চাপ বাড়ছে
কঠোর কভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন জরুরী সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার জন্য চাপ বাড়ছে ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকের ওপর। হাইস্ট্রিট-এ নতুন সংকটের ব্যাপারে দোকান মালিকেরা শংকিত। ক্রিসমাসের ব্যস্ত সময়ে লন্ডন ও দক্ষিণপূর্ব এলাকায় টিয়ার ফোর অর্থাৎ চার স্তরের বিধি নিষেধ আরোপের পর তাদের মধ্যে এ আশংকা দেখা দিয়েছে।
ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম এর প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকিনসন বলেন, টিয়ার ফোরে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন খুচরো পণ্য বিকিকিনি বন্ধ হওয়ার পরিণতি হবে মারাত্মক। হাইস্ট্রিট এখন এবছরে তৃতীয় বারের মতো বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ২ বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির সম্মুখীন।
গত রোববার টিয়ার ফোর অর্থাৎ ৪ স্তরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এর আওতাধীন সকল খুচরো ডেস্টিনেশনে বিকিকিনি ২০১৯ সালের তুলনায় ৬৪.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই হ্রাস ৭৫.৫ শতাংশ ঘটেছে শপিং সেন্টারে এবং ৭১ শতাংশ হাই স্ট্রিটে।
লন্ডনের বেথনাল গ্রীনের জনপ্রিয় ‘প্ল্যান্ট ওয়্যার হাউস’-এর ব্যবস্থাপক সুমেন সুমেন বলেন, ক্রিসমাসের ৬দিন আগে ব্যবসা বন্ধ করতে হলো। এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর। পচনশীল পণ্য সামগ্রীর ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, এটা আমার জন্য হৃদয় বিদারক যে, আমাদেরকে ক্রিসমাসের আগে ব্যবসা বন্ধ করতে হচ্ছে।
লেবার পার্টির ছায়া চ্যান্সেলর অ্যানেলিয়েসি ডডস্ সতর্কবানী উচ্চারণ করে বলেন যে, মি: সুনাককে ‘আত্মগোপন’ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং বিধি নিষেধের আলোকে লভ্য অর্থনৈতিক সহায়তার বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তের ঘোষনাটি অনেক ব্যবসাকে গোলাযোগের মধ্যে ফেলে দেবে। এই জটিল সময়ে চ্যান্সেলরকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
ব্রিটিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিটেইলার্স এসোসিয়েশন ‘নন-এসেনশিয়েল’ অর্থাৎ ‘অত্যাবশ্যকীয় নয়’ এমন পণ্যের বিকিকিনি বন্ধ রাখাকে বিপর্যয়কর বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রয়োজন, কারণ গ্রাহকেরা সুপার মার্কেটসমূহ ও অন্যান্য কিছু স্টোরে ভিড় করবে, যেগুলো খোলা থাকতে পারে।
সর্বশেষ বন্ধের পর, প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকিনসন আরো বলেন, এটা একটি বড়ো ধরনের দুঃখজনক সংবাদ। রিটেইলারস্ অর্থাৎ খুচরো ব্যবাসায়ীরা তাদের স্টোরগুলোকে কভিড থেকে নিরাপদ করতে লাখ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের পরিনতি হবে ভয়াবহ।