দেশব্যাপী আরেকটি লকডাউনের সম্ভাবনা
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭৪ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯০৩৬-এ পৌছাঁর ফলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আবার দেশব্যাপী একটি লকডাউনের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেননি। কভিড-১৯ পজিটিভ হওয়া যে সব লোক গত ২৮ দিনে মারা গেছেন তাদেরসহ গত বৃহস্পতিবারের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ৬২৫ জন। পরিসংখ্যান সংস্থাসমূহের প্রকাশিত আলাদা পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা ৮৬ হাজার।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, মহামারি মোকাবেলায় পদক্ষেপ হচ্ছে, কঠোর টিয়ার বা স্তুর বিশিষ্ট পদ্ধতি, কমিউনিটি টেস্টিং ও ভ্যাকসিন প্রদান। ক্রিসমাসের পর একটি দেশব্যাপী লকডাউনের সম্ভাবনা তিনি বাতিল করেন কি-না, এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্পষ্টত: আমরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ নতুন চাপ মোকাবেলা করছি, বিশেষভাবে নতুন ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী ও গতিসম্পন্ন ভাইরাস থেকে, যা বিস্তৃত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমি জানি এটা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় এবং আমাকে অবশ্যই জনগণকে বলতে হবে যে, এ অবস্থা জটিল হতে থাকবে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস)-এর বিশ্লেষণে প্রকাশ, ইংল্যান্ডের সকল নতুন করোনা-ভাইরাস কেসের প্রায় অর্ধেকই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা সংস্করণের। বৃহস্পতিবারে মৃত্যুর সংখ্যা বুধবারের চেয়ে কিছুটা কম। গত বুধবারে ৭৪৪টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়, যা ছিলো ২৯ এপ্রিলের পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ। সরকার বলেছে, বৃহস্পতিবারের সকাল ৯টায় যুক্তরাজ্যের আরো ৩৯০৩৬ জন ল্যাব-কনফার্মড করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী ছিলো।
গত ৭দিনে করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৯৯২৮ জন। এটা এর আগের ৭দিনের তুলনায় ৪৯.১ শতাংশ বেশী। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮৮৫৮৭ জনে উন্নীত হয়েছে। পাবলিক হেলথ্ ইংল্যান্ড-এর সর্বশেষ সাপ্তাহিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট অনুসারে, লন্ডনে নতুন আক্রান্তের হার আগের ২ সপ্তাহের পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই হার প্রতি ১ লাখে ৬০২.২তে বৃদ্ধি পায়, যা ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭দিনে ২০০.৩ থেকে এতে বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাজ্যের সকল অঞ্চলেই আক্রান্তের হার বেড়েছে। হারের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে লন্ডনের (৪৪০.৭) পরেই সর্বোচ্চ, এর পরে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড (৩৮০.৬) এবং ওয়েস্ট মিড-ল্যান্ডস (২১৮.৮)।