আগামী বছর হলিডে’র ব্যয় বাড়বে
আগামী বছর বিশ্বে হলিডেগুলো অধিকতর ব্যয়বহুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা সত্বেও তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে ২০২১ সাল অর্থাৎ আগামী বছরটি ভ্রমণকারীদের জন্য প্রতিশ্রুতিপূর্ণ। একটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বিশ্বকে প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে জেগে ওঠার সুযোগ করে দেবে, যে প্রতিবন্ধকতা এ বছর বিশ্ববাসীকে এতোটা বিভক্ত করেছে। তবে যে জায়গায় আমরা নিক্ষিপ্ত হয়েছি, সেখান থেকে আবার আগের অবস্থানে ফেরা সহজ হবে না, এজন্য অনেক খড়কুটো পোড়াতে হবে।
আগামী বছরে ভ্রমণ করতে গেলে একজনকে ২০১৯ সালের চেয়ে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশী অর্থ গুণতে হবে। এটা এমন একটি ইন্ড্রাষ্ট্রি, যেখানে দিগন্ত প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে গত দুই দশকব্যাপী ব্যয় কমার প্রবণতা ছিলো। হিসেবি মানুষের জন্য এটা ছিলো নিশ্চিতভাবে লভ্য। গত ১ জুনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, স্ট্যানস্টেড এয়ারপোর্ট থেকে বুখারেস্টে বিমান ভাড়া ছিলো মাত্র ১৫ পাউন্ড। এমনকি হিথ্রো থেকে মাত্র ২২ পাউন্ডে এমন ভ্রমন সম্ভব হয়েছে। আর বাজেট এয়ারলাইন্সে গেলে ১৩০০ মাইলের ভ্রমন ভাড়া ট্রেনের ভাড়ার চেয়েও কম ছিলো। কিন্তু ক’মাস পর অর্থাৎ ১ আগষ্টে দেখা গেলো, ব্রিটেনের সর্ববৃহৎ হলিডে কোম্পানী কতৃক ইংলিশ কিংবা ওয়েলশ থেকে বিক্রিকৃত সবচেয়ে কমমূল্যের প্যাকেজ ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৪২২ পাউন্ড।
সম্ভবত: এই বছর ট্রাভেল ইন্ডাষ্ট্রির জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। বিভিন্ন হলিডে কোম্পানী, ট্রাভেল এজেন্ট এবং এয়ারলাইন্সে কর্মরত প্রায় ১০ হাজার লোক ইতোমধ্যে তাদের এই মানবিক সেবাদানকারী পেশা ত্যাগ করেছেন। ২০২০ সাল শুরু হলে, যে বড়ো বড়ো ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ ভ্রমনকারীদের বড়ো ধরনের সেবা দিয়ে থাকে, তারা মোট প্রায় ১০ বিলিয়ন পাউন্ড লাভের প্রত্যাশা করেছিলো। কিন্তু তাদের সে আশা এখন দুরাশায় পরিনত হয়েছে, স্বপ্ন রূপ পরিগ্রহ করেছে দু:স্বপ্নের। বিনিয়োগকারীরা এই খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড ঢেলে এই খাতকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। করোনাভাইরাস বিপর্যয় শুরুর পর জেট-টু এবং টুই- এর মতো মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও ইজিজেটসহ বিশ্বমানের ব্রিটিশ এয়ারলাইনগুলো প্রথমেই তাদের স্টাফ ও কাস্টমারদের দিকে যথাসম্ভব নজর রেখেছে। এরপর চেষ্টা করেছে জ্বলন্ত ব্যালেন্সশীটকে অর্থাৎ ব্যয়কে যথাসম্ভব নিম্নমুখী করার। আগামী বছর ট্রাভেল ফার্মগুলো এয়ারলাইন্সের আসন সংখ্যার সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে উচ্চমূল্য বজায় রাখার জন্য।