আরো ২ লাখের চাকুরী হুমকির মুখে
ব্রিটেনের হাইস্ট্রিটে গত বছর ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মী চাকুরী হারিয়েছেন
যুক্তরাজ্যের হাইস্ট্রিটে ২০২০ সালে ১ লাখ ৭৭ হাজার চাকুরীচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। খুচরো চাকুরীতে আরো ২ লাখ চাকুরীচ্যুতির আশংকা রয়েছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গত শুক্রবার সেন্টার ফর রিটেইল রিসার্চ (সিআরআর) কর্তৃক প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালের প্রতি সপ্তাহে ৩৪ শ’ চাকুরী হারানোর ঘটনার ঘটেছে। ডেভেনহ্যামস ও স্যার ফিলিপ গ্রীনস আর্কেডিয়া গ্রুপের বিপর্যয় ছিলো গত বছরের সবচেয়ে হাই প্রোফাইল ক্যাজুয়েলটি, যাকে যুক্তরাজ্যের হাইস্ট্রিটে গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিশৃঙ্খলাপূর্ন সময় হিসেবে উল্লেখ করেছে সিআরআর।
সংস্থাটির পরিচালক জশুয়া ব্যামফিল্ড এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন যে, ২০২১ সালে আরো ২ লাখ চাকুরীচ্যুতি ঘটতে পারে যুক্তরাজ্যের এই সবচেয়ে বড়ো প্রাইভেট চাকুরী নিয়োগের খাতে। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বাভাসের ভিত্তি হচ্ছে , বেশ কিছু ফ্যাক্টর বা বিষয়। যেমন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার মাসগুলোর সামগ্রিক প্রভাব, এর নগদ অর্থ প্রবাহে প্রতিক্রিয়া এবং বকেয়া ভাড়া- যা বিলুপ্তির পর পরিশোধ করতে হবে। ২০২০ সালে রিটেইলারদের জন্য কর্মরত কর্মচারীদের অর্ধেকই চাকুরী হারায়। এটা ২০০৮ সালের মন্দার সময়ের চেয়ে বেশী। ২০০৮ সালে সেই সংখ্যা ছিলো প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
রিটেইল অর্থাৎ খুচরো খাতে কর্মরত টানাপোড়নে থাকা পিতামাতার সন্তানদের সহায়তাকারী দাতব্য সংস্থা ‘ফ্যাশন এন্ড টেক্সটাইল চিলড্রেনস্ ট্রাস্ট (এফটিসিটি) বলেছে, তারা সাহায্যের জন্য অনুরোধের বন্যায় পড়েছেন। ২০২০ সালে, তাদের মঞ্জুরীর জন্য অনুসন্ধানকারীদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪০০ বৃদ্ধি পায়। এফটিসিটি’র পরিচালক আন্না প্যাংবর্ন বলেন, স্বাস্থ্য সংকটকালে তাদের সংস্থাটি রেকর্ড পরিমান আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। ১ হাজার শিশুকে মোট ৫ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড মঞ্জুরী প্রদান করেছে। তিনি আরো বলেন, বছরটি প্রত্যেকের জন্য চ্যালেঞ্জপূর্ণ। তবে কিছু অরক্ষিত পরিবারের হঠাৎ আর্থিক অবস্থায় পরিবর্তন ঘটতে দেখা গেছে ফারলো কিংবা রিডানড্যান্সির (ঘাটতি ভাতা) ক্ষেত্রে। আমরা বহু পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তারা ঘরভাড়া দেবে না-কি ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুলের ইউনিফর্ম কিনবে- এ নিয়ে দোটানায় রয়েছে। ডেবেনহ্যামস এর মন্দাবস্থায় এফটিসিটি এর স্টাফদের ৪৮ হাজার পাউন্ড মঞ্জুরী প্রদান করেছে। ডেভেনহ্যামে এখনো নিয়োজিত ১২ হাজার কর্মীর অনেকেই এখনো ফারলোর অধীনে আছে। প্রতিষ্ঠানটি গৃহস্থালী সামগ্রী, স্কুলের পোশাক ও হোম লার্নিং কিটের মতো অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী প্রদান করছে বলে জানান প্যাংবর্ণ। রিয়েল এস্টেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাটলাস গ্রুপ-এর প্রোপার্টি ট্যাক্স প্রধান রবার্ট হেইটন বলেন, যুক্তরাজ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়েক লাখ দোকান খোলার বিষয়ে প্রকৃত ঝুঁকি বিদ্যমান।