ব্রিটেনের অতি ধনীদের ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ড সম্পদের খবর নেই
ব্রিটেনের একটি থিংক ট্যাংকের দাবি হচ্ছে, দেশটির ১ শতাংশ অতি ধনীদের ধারণকৃত কমপক্ষে ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ড সম্পদ সরকারী হিসাবের বাইরে রয়ে গেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ব্রিটেনের স্বল্পসংখ্যক অতি ধনী যুক্তরাজ্যের প্রায় এক চতুর্থাংশ সম্পদের মালিক এবং এই জাতীয় অসমতাকে নাটকীয়ভাবে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় একটি অত্যন্ত অসম সমাজ হিসেবে পরিগণিত। তবে ‘রিজোলিউশন ফাউন্ডেশন’-এর নতুন লভ্য তথ্যাবলীর মানে হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের ১ শতাংশ গৃহস্থালী ১৮ শতাংশ নয়, বরং ২৩ শতাংশ সম্পদের অধিকারী। ফাউন্ডেশনের মতে, যুক্তরাজ্যের ৫ শতাংশ সম্পদ জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের পরিসংখ্যান থেকে ‘মিসিং’ অর্থাৎ গায়েব হয়ে আছে, রক্ষণশীল হিসাবেও যার পরিমাণ প্রায় ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ড। এটা সহজেই এই পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে যেতে পারে।
‘রিজোলিউশন ফাউন্ডেশন’-এর একজন অর্থনীতিবিদ জ্যাক লেসলি বলেন, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে যুক্তরাজ্য সম্পদের একটি স্ফীতির মধ্যে দিয়ে গেছে, যখন আয় উপার্জনে স্থবিরতা এসেছে, তখনো এটা অব্যাহত থেকেছে। কিন্তু সরকারী উপাত্ত এই অর্জিত সম্পদের হিসাব আয়ত্ব করতে অসুবিধায় রয়েছে এবং দেশটির সবচেয়ে ধনী গৃহস্থালীগুলো কর্তৃক ধারণকৃত ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ ‘মিস’ করেছে।
ফাউন্ডেশন আরো বলে যে, দশকব্যাপী ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপের মধ্যে থাকা দেশটির এখন পুঁজি অর্জন, উত্তরাধিকার ও সম্পদ ট্যাক্স সংস্কারের মাধ্যমে এর সম্পদের রেকর্ড লেভেলগুলোতে করারোপের মতো উত্তম কাজটি করার উপযুক্ত সময়।
ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের সম্পদ বন্টনের একটি প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছে তার সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে। এতে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস ও এসেট সার্ভে-এর উপাত্তকে পত্রিকায় প্রকাশিত ধনীদের তালিকার সাথে মিলিয়ে চিত্রটি উপস্থাপন করা হয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের মোট সম্পদের ২৩ শতাংশ ধারণ করে আছে ১ শতাংশ অতি ধনী গৃহস্থালী। তাদের অভিমত, দশকব্যাপী অর্থনৈতিক চাপে থাকা যুক্তরাজ্যকে চলতি কুড়ির দশক ব্যাপী মহামারি বিপর্যস্ত অর্থনীতি বাঁচাতে একটি বড়ো ধরনের করারোপের উদ্যোগ নিতে হবে।
ফাউন্ডেশন পুঁজি অর্জনে বিধিনিষেধ ও উত্তরাধিকার ট্যাক্স রিলিফ এবং ২ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশী সম্পদের ওপর ১ শতাংশের অতিরিক্ত একটি কাউন্সিল ট্যাক্স সংযোজনের আহবান জানিয়েছে।