ব্রিটেনে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত
আবারও দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
ইংল্যান্ডে কভিড-১৯ এর ২য় ধাপে নতুন আক্রান্ত ও মৃতের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার (০৪ জানুয়ারী) মধ্যরাত থেকে ফেব্রুয়ারীর ১৫ তারিখ পর্যন্ত পুরো দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আজ সোমবার রাত ৮টায় ডাউনিং স্ট্রীটে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষনা দেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী নতুন করে ‘স্টে অ্যাট হোম’ অর্ডার ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে হসপিটালিটি খাত এবং অপরিহার্য নয় এমন দোকান পাঠ। লকডাউন সময়ে সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে, কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য করোনায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ হাজারের বেশি নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, আর মারা গেছে ৪০৭ জন।
উল্লেখ্য, ইউরোপজুড়ে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন বা স্ট্রেইনের ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে অনেক দেশই ইতোমধ্যেই কড়াকড়ি ও লকডাউন জারি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহুর্তে যদি যুক্তরাজ্যে লকডাউন আরোপ না করা হয় তবে প্রথম ধাপের চেয়ে এবার আরো বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। প্রতিদিন ৪০০০ মানুষের মৃত্যুর আশংকা করছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট অবিলম্বে দেশজুড়ে লকডাউন দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি সব স্কুল কলেজ, সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, এক বাসার সঙ্গে অন্য বাসার মানুষের মেলামেশায়ও নিষিধাজ্ঞা দিতে হবে। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে বরিস জনসন দেশজুড়ে আবারও লকডাউন ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন বা স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে টিয়ার আরোপ করা হলে, তা যথেষ্ট শক্তিশালী পদক্ষেপ হবে না। টিয়ার-৪ এর বিধিনিষেধ পুরোপুরিভাবে লোকজন মেনে না চলার কারণে সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না।
সোমবার উত্তর লন্ডনের চেজ ফার্ম হাসপাতাল সফর করেন বরিস জনসন। এ সময় তিনি বলেন, যদি আপনি আক্রান্তের সংখ্যার দিকে তাকান, তাহলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। যথাযথ সময়ে আমরা এ বিষয়ে ঘোষণা দেব। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সাবেক উপদেষ্টা নেইল ও’ব্রায়েনসহ কনজার্ভেটিভ দলের বেশ কিছু এমপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
WATCH LIVE: My update on coronavirus. (4 January 2021) https://t.co/ZL6PeAGWPl
— Boris Johnson (@BorisJohnson) January 4, 2021