অবৈধ অভিবাসন পরামর্শদান
২ প্রতিষ্ঠানের ৩ পরিচালককে ১৭০০০ পাউন্ড জরিমানা
ব্রিটেনের দু’টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের প্রায় ১৭০০০ পাউন্ড জরিমানা ও ২৮০০০ পাউন্ডের বেশী অর্থ ক্ষতিপূরন প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবৈধ অভিবাসন পরামর্শদানের অপরাধে তাদেরকে জারিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের নিয়ম বহির্ভূত পরামর্শ প্রদান করে তারা ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড উপার্জন করেন। দন্ডপ্রাপ্ত পরিচালকরা হচ্ছেন ড্যান রমুলাস ড্যান্ডেস ও বাব্বর আলী জামিল (পরিচালকদ্বয়, ডিডিআর লিগ্যাল সার্ভিসেজ এলএলপি) এবং মিসেস জিয়া বি পরিচালক, বারলো এন্ড স্পেন্সার লিঃ)। গত ৫ জানুয়ারী ওল্ড বেইলী আদালতে তাদের এ দন্ড প্রদান করা হয়।
মিঃ ড্যান্ডেসকে ক্ষতিপূরন বাবদ ২০০০০ পাউন্ড এবং ৭৫০ পাউন্ড জরিমানা প্রদানের নিদের্শ দেয়া হয়। মিঃ জামিলকে তার অনুপস্থিতিতে ১০০০০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়। তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মিসেস বি-কে ৬০০০ পাউন্ড জারিমানা ও ৮৭৪৫ পাউন্ড ক্ষতিপূরন প্রদানের আদেশ দেয়া হয়। ওআইএস কর্তৃক ২ বছর ব্যাপী তদন্তের পর গত বছরের এপ্রিলে তাদের অভিযুক্ত করে বিচারক এই দন্ড প্রদান করেন। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসন পরামর্শ প্রদানের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। তারা ফী বাবদ অতিরিক্ত ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড গ্রহন করেন বলে তদন্তে প্রকাশিত হয়।
আদালতে বিচারক মিঃ মুনরো দন্ড প্রদান করে বলেন, অভিযোগকারীদের ক্ষয়ক্ষতি ও এর প্রভাব ব্যাপক এবং কিছু ক্ষেত্রে বিপর্যয়কর। বিবাদীদের প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, বিবাদীদের সকলের পূর্ব ইতিহাস ভালো। সকল মামলায় অপরাধকে খাটো করে দেখা জ্ঞানের প্রকৃত ঘাটতির পরিচায়ক কারণ অপরাধমূলক আচরন প্রকৃত পক্ষেই অপরাধ।
মিসেস বি এবং মি: ড্যান্ডেস স্বীকার করেন যে, তারা অবহেলা করেছেন এবং এর ফলে নিরপরাধ লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তাদের অবৈধ পরামর্শের ফলশ্রুতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে। এদের একজনের যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে হয়েছে চিরতরে। অপরজনকে একটি ব্যর্থ আবেদনের জন্য ৭ হাজার পাউন্ড ব্যয় করতে হয়েছে। অন্যান্যদের আবেদপত্র দাখিলের জন্য সাংহাই কিংবা ব্যাংকক পর্যন্ত যেতে হয়েছে, যে সব আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যাত হতে বাধ্য। এ প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন সার্ভিসেজ কমিশনার মন্তব্য হচ্ছেঃ আমরা এসব ব্যক্তির ওপর দন্ডাদেশ প্রদানে বিচারকদের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট, যারা বেআইনীভাবে অভিবাসন সংক্রান্ত উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে অনেক অরক্ষিত লোকজনের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছেন।