তুরস্কের এজেন্ডায় ইইউ’কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে: এরদোগান
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক তার আলোচ্য বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে এবং নতুন যুগের সূচনায় তার ভবিষ্যত সম্পর্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে আরো দৃঢ় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দুই মিত্রের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিরোধের প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণে তুরস্ক ইতিবাচক বার্তা পাঠানো অব্যাহত রাখবে। লক্ষণীয় যে, এই দুই কৌশলগত মিত্রের মধ্যে ভূমধ্যসাগরীয় পুর্বাঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা, সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা, অভিবাসী সংকট এবং ইইউ ব্লকে তুরস্কের প্রবেশ প্রক্রিয়ায় জটিলতাসহ অনেকগুলো বিষয়ে বিরোধ বিদ্যমান।
তুরস্ক-ইইউ সম্পর্ক বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধানের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদান কালে তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এ কথাগুলো বলেন। এছাড়া গত মাসে জনৈক ইউরোপীয় কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে এরদোগান বলেন, তুরস্ক ইইউ’র সাথে ‘একটি নতুন পৃষ্ঠা’ খুলতে চায় এবং ব্লকটির সাথে এর ভবিষ্যত গড়তে আগ্রহী।
তিনি দুষ্টচক্রের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেকে অব্যাহতভাবে সংকট উসকে দিতে চাইছে। তিনি পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ইইউয়ের সাথে আবার আলোচনা শুরুর এবং ২০২১ সালকে তুরস্কের জন্য একটি নতুন পররাষ্ট্র নীতির বছর হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এরদোগান বলেন, আমরা কভিড-১৯ পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ইউরোপীয় কাউন্সিলের কর্মসূচী বাস্তবায়নে মত বিনিময় করেছি। ২০২০ সালে কিছু সদস্য দেশের সাথে আমাদের সমস্যা হয়েছে। এগুলো ইইউ’র সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ের উত্তেজনা, যা একটি পরিস্থিতি নয় বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, ২০২১ সাল অভিবাসনের ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতামূলক সর্ম্পক ও গঠনমূলক পরিবেশের একটি সুযোগ দেবে।
ইইউ’র বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বররেল বলেন, ইইউ তুরস্কের সাথে আলোচনার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করতে প্রস্তুত এবং তিনি ব্রাসেলসে তুর্কী প্রধানমন্ত্রী মেভলুত কভেসগলুকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছেন। এদিকে শীর্ষ তুর্কী কূটনীতিকরা আগামী ২১ জানুয়ারী বররেলের সাথে আলোচনার প্রত্যাশা করছেন।